পাঁচবছর পর ২ ফেব্রুয়ারি সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন, রিটার্নিং অফিসার পার্থ

0
1

বাংলার বুকে একের পর এক নির্বাচনে বিজেপি (BJP) সহ বিরোধীদের কার্যত ধুলিস্যাৎ করার পর এবার দলীয় গণতন্ত্র মেনে ভোটের দামামা বেজে গেল তৃণমূলের (AITC) অন্দরে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে (Netaji Indoor Stadium) সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন (AITC Election)। ৩১ মার্চ ঘোষিত হবে নতুন কার্যকরী সমিতি। আজ মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এবং দলের অভ্যন্তরীণ এই নির্বাচনে পার্থবাবু রিটার্নিং অফিসার মনোনীত হয়েছেন। সমগ্র ভোট পরিচালনার দায়িত্ব তাঁর কাঁধেই। প্রতিনিধি, ভোটার এবং পর্যবেক্ষকদের তালিকা বানাবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে সেই কাজ তিনি সেরে ফেলবেন বলে জানিয়েছেন।

এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) বলেন, ‘‘আগামী ২ ফেব্রুয়ারি সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে এবং দলীয় সংবিধান অনুসরণ করে অনুষ্ঠিত হবে তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে কোভিড বিধি মেনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সর্বস্তরে সাংগঠনিক নির্বাচন সেরে ফেলা হবে। সেই দিনই তৃণমূলের কার্যকরী সমিতির ঘোষণা করা হবে। যাতে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে করা যেতে পারে, তা আলোচনা করে নিশ্চিত করা হবে। রিটার্নিং অফিসার হিসেবে আমি দলীয়স্তরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবো। প্রথমে নির্বাচন হবে দলের চেয়ারপার্সনের, তারপরে তৈরি হবে ওয়ার্কিং কমিটি।”

আরও পড়ুন-মমতার দেখানো পথে তামিলনাড়ুর ট্যাবলো বাতিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি স্ট্যালিনের

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৭ সালের এপ্রিলে শেষবার তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন হয়েছিল। অর্থাৎ, ৫ বছর পর ফের গণতান্ত্রিক উপায়ে দলের সাংগঠনিক নির্বাচন করতে চলেছে ঘাসফুল শিবির। শেষবার একমাত্র দলনেত্রী পদে নির্বাচন হয়। এবং সেই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এর পাশাপাশি প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো বিতর্ক টেনেও এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ফের একবার কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেন। তাঁর কথায়, “ট্যাবলো নিয়ে কেন্দ্রের তরফে যেভাবে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তা অমর্যাদাকর। গরিমা ক্ষুন্ন করা হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে তুলে ধরার প্রয়াস থেকে বাংলাকে দূরে রাখা হচ্ছে। যা দুর্ভাগ্যজনক।”