সামনেই উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন। বিধানসভা নির্বাচনের আর এক মাসও বাকি নেই। যোগীরাজ্যের হাইভোল্টেজ নির্বাচনের আগে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেল অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। শনিবার আসন্ন ভোটে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে আজাদ সমাজ পার্টির কোনও জোট হচ্ছে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন আজাদ সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো চন্দ্রশেখর আজাদ। বিজেপি বিরোধী শিবির একজোট না হলে আজাদ সমাজ পার্টি একার ক্ষমতাতেই এবারের উত্তরপ্রদেশ ভোটে লড়াই করবেন বলে ঘোষণা করেছেন তিনি।

বিধানসভা নির্বাচনের আর এক মাসও বাকি নেই। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশে প্রথম দফার নির্বাচন।ভোটে বিজেপিকে চাপে ফেলতে দলিত নেতা চন্দ্রশেখর আজাদের সঙ্গেও জোট বাঁধার পরিকল্পনা করেছিল সমাজবাদী পার্টি। ইতিমধ্যেই, ভোটের আগে বিজেপির অনেক দলিত বিধায়ক, নেতারা সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়ে দলের হাত আরও মজবুত করছেন। ভোটের আগে বহু বিধায়ক দল ছাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। কিন্তু শনিবার পাল্টে গেল ছবিটা। এদিন সাংবাদিক সন্মেলন করে ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর জানিয়ে দেন নির্বাচনে তাঁরা অখিলেশের সঙ্গে জোট করছেন না।তিনি জানান, দলিত সম্প্রদায়ের সমর্থনের প্রয়োজন নেই অখিলেশের। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন অখিলেশ দলিতদের সম্পর্কে নীরব থাকেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত ৬ মাস ধরে তিনি অখিলেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেও সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো তাঁকে একবারও ফোন করেননি। এটা তাঁর দল ‘আজাদ সমাজ পার্টি-র’ জন্য বেশ অপমানজনক।

অন্যদিকে রাজনৈতিক মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে শুধু কি এই কারণেই অখিলেশের সঙ্গে জোট করল না আজাদ সমাজ পার্টি? সূত্রের খবর, শুক্রবার সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমোর সঙ্গে বৈঠকে বলেছিলেন চন্দ্রশেখর। নির্বাচনে অখিলেশ তাঁকে তিনটি আসনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ১০টি আসন চেয়েছিলেন। তাঁর দাবি পূরণ না হওয়াটাই সপা-র সঙ্গে জোট না করার মূল কারণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।

দলিত নেতা জোট না করায় নির্বাচনে বিজেপির চাপ বাড়াতে একটু হলেও যেমন ব্যাকফুটে গেল অখিলেশের দল। অন্যদিকে চড়া দামে টিকিট বিক্রির অভিযোগ ওঠায় পাল্টা চাপের মুখে সমাজবাদী পার্টি। মুজফফগনগর থানা নগর কোতোয়ালি ক্ষেত্রের বসপা নেতা আহমেদ রানা শুক্রবার থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন, ২০১৮-র ১৮ ডিসেম্বর মুজফফরনগরে দলীয় জেলা দফতরে বিধানসভা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত নেতা বাছাইয়ের সভা ছিল। এর দু-একদিন আগে বসপার পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত নেতা সামসুদ্দিন রাইন তাঁকে বলেন, তাঁর নাম চরথাবল বিধানসভা কেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে ভাবা হচ্ছে। এজন্য তাঁকে কিছু টাকা হবে।

এরপর দলীয় দফতরে সাহারানপুর মন্ডলের প্রধান কোঅর্ডিনেটর নরেশ গৌতম, প্রাক্তন মন্ত্রী প্রেমচাঁদ গৌতম, সত্যপ্রকাশ প্রমুখ নেতার উপস্থিতিতে ২০২২-এর বিধানসভা ভোটে আহমেদ রানার নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয়। বিধানসভা কেন্দ্রের প্রত্যাশিত প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করতে কয়েক দফায় টাকা নেওয়া হয়। প্রথমে নেওয়া হয় সাড়ে চার লাখ টাকা। আবার নেওয়া ৫০ হাজার। পরে ১৫ লাখ টাকা দিতে হয় তিন কিস্তিতে। তারপরও নানা সময়ে সামসুদ্দিন দলের অন্য প্রথম সারির নেতাদের সামনেই তাঁর কাছ থেকে ১৭ লাখ টাকা নেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দল যে তালিকা দেয়, তাতে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয় সলমন সঈদকে। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আহমেদ রানা। থানায় গিয়ে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি আত্মহত্যারও হুমকি দেন তিনি। থানার কর্তারা তাঁকে তদন্তের ভরসা দিলেও রানা শান্ত হননি। জানিয়ে দিয়েছেন, ন্যয়বিচার না পেলে লখনউয়ে দলীয় দফতরে গিয়ে আত্মহত্যা করবেন! নির্বাচনের আগে এই দুই ঘটনা সপা-র ভোট ব্যাংকে প্রভাব ফেলবে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন- TMC Goa: কোণঠাসা বিজেপি, গোয়ায় দেদার যোগদান তৃণমূলে

 
 
 
 
 
 
 
 































































































































