ভোট বড় বালাই।বিধানসভা নির্বাচনের আর এক মাসও বাকি নেই।আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশে প্রথম দফার নির্বাচন। তার আগে যোগী মন্ত্রিসভায় যেভাবে একের পর এক উইকেট পড়েই চলেছে, তাতে রীতিমতো কপালে ভাঁজ পড়েছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের।আসলে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে পিছড়েবর্গ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা নেয়।
প্রথমে মঙ্গলবার ইস্তফা দেন মন্ত্রী স্বামী প্রসাদ মৌর্য। যিনি নিজে পিছড়েবর্গের প্রতিনিধি। উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে তার যথেষ্ট প্রভাব। বুধবার ইস্তফা দেন অনগ্রসর কল্যাণ সম্প্রদায়ের অন্যতম মুখ দারা সিং চৌহান, আর বৃহস্পতিবার মন্ত্রীত্ব ছাড়েন ধরম সিং সাইনি। ভোটের আগে একের পর এক মন্ত্রীর পদত্যাগে রীতিমতো বেসামাল যোগীর মন্ত্রিসভা।বিধানসভা নির্বাচনের ভোটব্যাঙ্কে যে তার প্রভাব পড়বে সেটা আঁচ করতে পেরে এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামলেন স্বয়ং যোগী আদিত্যনাথ।
আরও পড়ুন- এবার বাঘের আতঙ্ক পাথর প্রতিমায়, নদীর চরে মিলল টাটকা পায়ের ছাপ
শুক্রবার পিছড়েবর্গের এক কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন তিনি। উল্লেখ্য, বুধবার মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন দারা সিং চৌহান। তিনি অনগ্রসর সম্প্রদায়ের। উত্তরপ্রদেশের ভোটে যাতে অনগ্রসর সম্প্রদায়ের ভোট কাটা না যায় সেই কারণেই নতুন কৌশল যোগীর, এমনটাই দাবি রাজনৈতিক মহলের। কারণ, এর আগে কোনও পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর কর্মীর বাড়িতে যোগী মধ্যাহ্নভোজ সারেননি। এরকম ঘটনা অবশ্য বিজেপির আমদানি করা।দারা সিং চৌহানের পদত্যাগের পরেই যোগীর এই পরিকল্পনা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
ভোটের আগে এই সস্তা রাজনীতি যে কোনও প্রভাব ফেলে না, তা এখনও বোধগম্য হয়নি বিজেপি নেতৃত্বের। বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহ থেকে শুরু করে জে পি নাড্ডা বিজেপির দলীত কর্মীর বাড়িতে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছেন। অথচ ফল বেরোনোর পর দেখা গেল, বাংলার মানুষ বিজেপিকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।
কিন্তু যোগীর ক্ষেত্রে এই প্রথম এমন চমক। ভোট ব্যাংকের কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত অমিত শাহ,  নাড্ডার পথে হাঁটলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই মত ওয়াকিবহল মহলের।
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 





























































































































