পৌষ সংক্রান্তি বা মকরসংক্রান্তি , বহুদিন ধরে চলে আসছে এই উৎসব। বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়।হিন্দুধর্মমতে এই তিথি খুব পবিত্র বলে প্রাচীনকাল থেকে মনে করা হয়। তাই এইদিনটি ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। পিঠেপুলি উৎসব বা ঘুড়ি ওড়ানোর আচার যোগ হয়ে গিয়েছে এর সঙ্গে। তবে এই লগ্নে ভীষ্মের মৃত্যুবরণ আজও বিশ্বাসীর মনকে বিধুর করে দেয়।
আরও পড়ুন:Horoscope: কেমন যাবে আজকের দিন
মকর মূলত জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি ক্ষণ। ‘মকরসংক্রান্তি’ শব্দটি দিয়ে নিজ কক্ষপথ থেকে সূর্যের মকর রাশিতে প্রবেশকে বোঝানো হয়ে থাকে। ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী ‘সংক্রান্তি’ একটি সংস্কৃত শব্দ, এর দ্বারা সূর্যের এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে প্রবেশ করাকে বোঝানো হয়ে থাকে। ১২টি রাশি অনুযায়ী এরকম সর্বমোট ১২টি সংক্রান্তি রয়েছে।
হিন্দুমতে মকরসংক্রান্তির দিনে সমস্ত অশুভ শক্তির বিনাশ হয়ে শুভ শক্তি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। এই লগ্নে পিতামহ ভীষ্ম স্বেচ্ছামৃত্যুর দিন হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন বলে কথিত আছে।পুরাণমতে, সূর্য এ দিন নিজের ছেলে মকর রাশির অধিপতি শনির বাড়ি এক মাসের জন্য ঘুরতে গিয়েছিলেন। তাই এই দিনটিকে বাবা-ছেলের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অতি তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন বা মুহূর্ত হিসাবে ধরা হয়।তাই শুধু স্নানই নয়, পুজো থেকে শুরু করে পিঠেপুলির আয়োজন করা হয় দিনটিতে।
বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। পৌষ মাসে সূর্য যখন ধনু রাশি থেকে মকর রাশিতে প্রবেশ করে, তখন মকর সংক্রান্তি পালিত হয়। এই উৎসব উত্তরায়ণ নামেও পরিচিত।
এবছর মকর সংক্রান্তির পড়েছে ১৪ জানুয়ারি। সংক্রান্তির পুণ্যকাল হল সকাল ৮.০৩ থেকে ১২.৩০ পর্যন্ত। মহাপূণ্যকাল ৮.০৩ থেকে ৮.২৭ পর্যন্ত। এই সময় পূণ্য অর্জনের জন্য দান ও পবিত্র নদীতে স্নানের রীতি বহু বছর ধরে প্রচলিত।


































































































































