রাতের কলকাতায় পুলিশ সেজে লুঠ চালালো ‘মহিলা গ্যাং’, গ্রেফতার ৩

0
3

করোনা আবহে বাড়ছে চুরি। তাও আবার যেমন তেমনভাবে নয়। রীতিমতো পুলিশের পোশাক পরে নিজের স্ত্রী ও ভাইয়ের স্ত্রী-সহ তিন মহিলাকে কাজে লাগিয়ে মহিলা গ্যাং তৈরি করেছিল ওই মহিলাদেরই এক কর্তা। পরমা আইল্যান্ডের কাছেই দাঁড়িয়ে ছিল সকলে। গাড়ি আসতেই হাত দেখিয়ে দাঁড় করায় একটি গাড়িকে। তারপরই লুঠপাঠ চালায় তারা।  যদিও শেষরক্ষা হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে ওই গ্যাং-কে ধরে পুর্ব কলকাতার প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ। বিধাননগর দক্ষিণ এলাকার নবপল্লি থেকে বিশ্বনাথ দে নামে ওই ভুয়ো পুলিশকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি কলকাতার একটি অটো রুটের অটো ইউনিয়নের নেতা। তার স্ত্রী এবং ভাইয়ের স্ত্রীকে ঘটনায় জড়িত থাকায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগেও নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে একাধিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল অটো ইউনিয়নের ওই নেতা।

আরও পড়ুন:মঞ্চে উঠে বিজেপি বিধায়ককে সপাটে চড় কষালেন প্রবীণ কৃষক নেতা, ভাইরাল ভিডিও

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত ১০ টা নাগাদ নিজের গাড়ি করে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন অশোককুমার দে বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। ইএম বাসপাস ধরে বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন তিনি। এমন সময় পরমা আইল্যান্ডের সামনে গাড়িটি আসতেই হাত দেখিয়ে তাঁর গাড়িটিকে দাঁড় করায় পুলিশের পোশাক পরা এক ব্যক্তি। পুলিশ দেখে গাড়ি থামান অশোককুমার। এরপরই বিশ্বনাথ-সহ তিন মহিলা চিংড়িঘাটা মোড় পর্যন্ত তাদের ড্রপ করে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। কথামত ড্রপও করে দেন অশোককুমার। শেষে বাড়ি ফিরে অশোক দেখেন গাড়ি থেকে উধাও তার ল্যাপটপ সহ গুরুত্বপুর্ণ জিনিসপত্র রাখা একটি ব্যাগও। সেখান থেকে এক বন্ধুকে নিয়ে তাঁর সল্টলেকের বাড়িতে নামিয়ে রবীন্দ্র সরোবরে নিজের বাড়িতে ফেরেন। অভিযোগ, তখনই তিনি দেখেন, তাঁর ব্যাগটি উধাও।

রাতেই রবীন্দ্র সরোবর থানায় ছোটেন তিনি। সেখান থেকে তাঁকে প্রগতি ময়দান থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্তে নামে। কিন্তু প্রথমে ঘটনার কিনারা করতে পারছিলেন না তদন্তকারীরা। তবে অভিযোগকারী পুলিশের পোশাক পরা ব্যক্তিকে যে সময়ে গাড়িতে তোলার কথা জানিয়েছিলেন, সেই সময়েরই একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পায় পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে শেষমেশ চিংড়িঘাটা মোড়ের কাছে সুকান্তনগর এলাকায় খোঁজখবর শুরু করা হয়।পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে তাতেই খোঁজ মেলে বিশ্বনাথের স্ত্রী মীরা ও তার ভাতৃবধূ। ওই তিন জনকে জেরা করেই উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া সামগ্রী এবং পুলিশের পোশাক।কিন্তু কি করে তারা ওই পুলিশের পোশাক পেল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।