রেল স্টেশনে শুধু ট্রেনের টিকিটই নয়, এবার পাবেন বিমান এবং বাসের টিকিটও

0
1

রেল স্টেশনে শুধু ট্রেনের টিকিটই নয়, এবার পাবেন বিমান এবং বাসের টিকিটও।এমনকি রেল স্টেশনেই করানো যাবে আধার, প্যান, ভোটার কার্ড এবং মোবাইল রিচার্জও।
প্রাথমিকভাবে দেশের ২০০টি রেলওয়ে স্টেশনে কমন সার্ভিস সেন্টারের (সিএসসি) কিয়স্ক বা স্টল বসিয়ে এই নয়া এবং আকর্ষণীয় কর্মসূচির পথে হাঁটতে চলেছে রেলমন্ত্রক। তার নাম দেওয়া হচ্ছে ‘রেলওয়্যার সাথী’। এই তালিকায় নাম রয়েছে রাজ্যের জলপাইগুড়ি রোড, ফালাকাটা এবং সেবক স্টেশনের। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের বারাণসী এবং প্রয়াগরাজ স্টেশনে এই পরিষেবা চালু করে দিয়েছে রেল বোর্ড।রেলমন্ত্রকের আওতাধীন সংস্থা রেলটেল এবং ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইনফর্মেশন টেকনোলজি মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘সিএসসি ই-গভর্নেন্স সার্ভিসেস ইন্ডিয়া লিমিটেড’ (সিএসসি-এসপিভি)-এর যৌথ সহযোগিতায় পুরো কর্মসূচিটি বাস্তবায়িত করতে চলেছে মন্ত্রক।
রেল বোর্ড অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে স্টেশনগুলির পিআরএস (প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেম) কাউন্টার থেকে এই পরিষেবাগুলি মিলবে না। বরং বাছাই করা ওই ২০০টি স্টেশনে কমন সার্ভিস সেন্টারের স্টল বসানো হবে। গ্রাম স্তরের উদ্যোগপতিরাই (ভিলেজ লেভেল এন্টারপ্রেনার্স অথবা ভিএলই) সেই কিয়স্কগুলির দায়িত্বে থাকবেন। বাস, ট্রেন, বিমানের টিকিট কাটাই হোক কিংবা আধার, ভোটার কার্ড, প্যান তৈরি—সবকিছুরই সুবিধে মিলবে রেল স্টেশনগুলি থেকে। এরই পাশাপাশি বিদ্যুতের বিল মেটানো, আয়কর, ব্যাঙ্কিং, বিমা সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিষেবাও এবার থেকে রেল স্টেশনেই পাবেন যাত্রীরা।
রেলটেলের সিএমডি পুনীত চাওলা জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিকভাবে এই কর্মসূচির জন্য দেশের গ্রামাঞ্চলের রেলওয়ে স্টেশনগুলিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে গ্রামের মানুষ সঠিক পরিকাঠামোর অভাবে অথবা ইন্টারনেট পরিষেবায় খুব বেশি সড়গড় না হওয়ায় এই সংক্রান্ত সুবিধে থেকে বঞ্চিত থেকে যান। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ-মধ্য রেলের ৪৪টি, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ২০টি, পূর্ব-মধ্য রেলের ১৩টি, পশ্চিম রেলের ১৫টি, উত্তর রেলের ২৫টি, পশ্চিম-মধ্য রেলের ১২টি, পূর্ব উপকূল রেলের ১৩টি এবং উত্তর-পূর্ব রেলের ৫৬টি স্টেশনে এই পরিষেবা শুরু হচ্ছে। তবে এই তালিকায় পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কোনও স্টেশনেরই নাম না থাকায় বিতর্ক শুরু হয়েছে।