সুপ্রিয় চন্দ
(মুখপাত্র, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস
রাজ্য সম্পাদক, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ)
ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। বহুশ্রুত দেশমান্য আপ্তবাক্যটিকে নতুনভাবে একেবারে সময়ের উপযোগী আঙ্গিকে বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মের নামে অধর্মে কিংবা জাতের নামে বজ্জাতি যখন দেশের একশ্রেণীর রাজনীতিকের একমাত্র অস্ত্র ও শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে পরিগণিত হয়েছিল তখন তার বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠে এল মাটি থেকে। দুই শব্দের স্লোগান। খেলা হবে। আপাত সাধারণ ও নিরীহ শব্দবন্ধ তৈরি করল এক প্রচণ্ড সামাজিক অভিঘাত। উত্তরবঙ্গে যেদিন এই স্লোগানের সম্পূর্ণ খসড়া লিখছেন অগ্রজ বন্ধুপ্রতিম দেবাংশু ভট্টাচার্য, সেদিন তার পাশে ছিলাম আমি। মোবাইলে কিপ্যাডে লেখার শব্দ শুনে বোঝা যায়নি যে স্লোগান আগামী দিনে রাজ্য সরকার পালিত একটি দিবসের মর্যাদা পাবে। আসলে খেলা যুদ্ধোন্মত্ততার বিরুদ্ধে কথা বলে। উখার কে ফেক দেঙ্গে – যুদ্ধের এই বয়ানের বিরুদ্ধ ভাষ্য ‘খেলা হবে’। খেলা বলে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতার কথা। খেলা বলে স্পোর্টসম্যান স্পিরিটের কথা। যেখানে বিরোধী শত্রু, নয় প্রতিপক্ষ। যেখানে একক প্রদর্শনী নয়, টিম গেম গুরুত্বপূর্ণ। আজ ‘খেলা হবে’ স্লোগান তৈরীর এক বছর। বছর বছর খেলা হোক। দুনিয়া জুড়ে ভয় দেখানো সব যুদ্ধের বিরুদ্ধে, খেলা চলুক মাঠগুলোকে বড়ো করে।
আরও পড়ুন:প্রয়াত মজিবুরকে ত্রিপুরায় চোখের জলে শেষশ্রদ্ধা তৃণমূল নেতৃত্বের, শুক্রবার শেষকৃত্য