ওমিক্রনের জের: হোটেল ব্যবসায় ক্ষতি ২০০ কোটি

0
3

ওমিক্রনের জেরে এবার বুকিং বাতিলে ২০০ কোটি টাকা ক্ষতি হোটেল ব্যবসায়। সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ব্যবসায়ীরা। গোটা দেশজুড়ে ওমিক্রনের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এমন অবস্থায় বিভিন্ন সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য বহু হোটেল-রেস্টুরেন্ট বুকিং বাতিল হয়েছে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

হোটেল ব্যবসায় এখনো পর্যন্ত ২০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার তথ্য দিয়ে জানিয়েছে হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলির শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অফ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশনস অফ ইন্ডিয়া (FHRAI)।

আরও পড়ুন: CNCI দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন মোদির, “আগেই উদ্বোধন করে দিয়েছি আমরা”, বললেন মমতা

FHRAI- এর সদস্যরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে সরকারের থেকে সাহায্য না পেলে হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলির ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে। দ্য ফেডারেশন অফ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশনস অফ ইন্ডিয়া (FHRAI) -র যুগ্মসচিব প্রদীপ শেঠি বলেন, ‘২০২১-এর বর্ষবিদায় এবং ২০২২-এর বর্ষবরণ এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানও ওমিক্রনের কারণে হোটেল- রেস্টুরেন্টগুলিতে বুকিং বাতিল হয়েছে। বুকিং বাতিলের কারণে কেবল ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহেই দেশের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় ২০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।’ শেঠি জানিয়েছেন, ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হোটেলগুলিও তাদের রুম রেন্টে কাটছাঁট করতে বাধ্য হয়েছে।

শেঠির কথায়, ‘গত বছর অক্টোবরের পর হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলির বিক্রিও ভালোই বাড়ছিল। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি হোটেল-রিসর্টগুলিতে অক্যুপেন্সি ৮০%-৯০% হয়ে গিয়েছিল। শহরের মধ্যে অবস্থিত হোটেলগুলিতেও ৫০% অক্যুপেন্সি ছিল।’ কিন্তু, ওমিক্রন-এর জেরে দেশের হোটেল-রিসর্ট-রেস্টুরেন্ট ব্যবসা ফের এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। শেঠি বলেন, এই সংক্রমণের হার আর না বাড়ে। তাঁদের আশা, কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার যদি ফের কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করে তবে, হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলিকে যেন ছাড় দেওয়া হয়। কারণ ২০২০ এবং ২০২১ সালের দু’টি লকডাউনের পর অনেক ক্ষতি স্বীকার করে হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলির ফের খুলেছে। ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। এ বার ফের বন্ধ হলে অনাদায়ী ব্যাঙ্কঋণের পরিমাণ বাড়বে যদি না কেন্দ্র সাহায্য করে।