করোনা সংক্রমণের হাত থেকে নিস্তার নেই স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলিরও।এবার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আক্রান্ত ৭০। গতকাল রাত পর্যন্ত ৫৮ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।সোমবার সকালে এখনও পর্যন্ত আরও ১২ জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এই মুহূর্তে চিকিৎসক, জুনিয়র চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী মিলিয়ে সংখ্যাটা ৭০ এর ঘরে পৌঁছিয়েছে। রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ থার্মলজিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১২।
ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অধ্যক্ষ-সহ আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ জন। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতলে আক্রান্ত ২ জন। কলকাতা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে ১৯। আর আহমেদ ডেন্টাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আক্রান্তের সংখ্যা ২২। রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম হাসপাতালে আক্রান্তের সংখ্যা ১২। এছাড়াও চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালে আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী ।
আরও পড়ুন- রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে এবার টুইটবাণ ক্ষুব্ধ রাজ্যপালের
এর আগে শহরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বহু চিকিৎসক-নার্স। জোড়া টিকা নিয়েও আক্রান্ত হন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধক্ষ্য। এ ছাড়াও করোনার প্রকোপে পড়ে চিত্তরঞ্জন সেবাসদন। সেই হাসপাতালে সুপার, সহকারী সুপার, চিকিৎসক-সহ মোট ৩৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে করোনা ধরা পড়েছে।
মেডিক্যাল কলেজের অধক্ষ্য অজয় রায় আগেই করোনা পজিটিভ হয়েছিলেন। তিনি এখন বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন বলে খবর। চিত্তরঞ্জন সেবাসদনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যে সমস্ত চিকিৎসকরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দু’জন হাসপাতালে ভর্তি রযেছেন। যদিও স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে আশ্বস্ত করা বয়েছে, চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা আক্রান্ত হলেও স্বাস্থ্য পরিষেবায় কোনও রকম অসুবিথা সৃষ্টি হবে না।
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি সামাল দজিতে সোমবার থেকেই বেশ কিছু বিষয়ে কড়া বিধিনিষেধ কার্যকর করেছে রাজ্য সরকার। লোকাল ট্রেনের যাতায়াতে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, রেস্তরাঁ, পাব, জিম থেকে শুরু করে অনেককিছু বন্ধ করেছে রাজ্য সরকার। বন্ধ করা হয়েছে, স্কুল, কলেজ। তবুও সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সোমবার রাতে দৈনিক সংক্রমণের পরিমাণ ছাড়িয়ে গিয়েছে ছ’হাজারে গণ্ডি। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ। এর পরে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপর একটা চাপ তৈরি হওয়াও স্বাভাবিক।






























































































































