Corporation Election: পিছোচ্ছে না ভোট, নতুন গাইডলাইনে প্রচার পর্বে রাশ টানলো কমিশন

0
1

রাজ্যজুড়ে বিদ্যুৎগতিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমণ সংখ্যা প্রতি ২৪ ঘন্টায় ভেঙে দিতে শুরু করেছে আগের ২৪ ঘন্টার রেকর্ড। সঙ্গে চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রন। আর এই সময়েই রাজ্যের চার গুরুত্বপূর্ণ পুরনিগমের ভোট আগামী ২২ জানুয়ারি। আজ, ৩ জানুয়ারি ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। ভোট হবে কলকাতার উপকণ্ঠে বিধাননগর, হুগলির চন্দননগর, আসানসোল এবং উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি পুরনিগমে।

কিন্তু হঠাৎ করে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। মহামারি আবহে নির্বিঘ্নে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাটাই এখন চ্যালেঞ্জ কমিশনের। সেই কারণে আজ, সোমবার দুপুর তিনটের সময় আসন্ন পুরভোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভার্চুয়াল বৈঠক করে কমিশন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস, মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা এবং স্বাস্থ্য সচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম। বৈঠকের পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশন একটি গাইডলাইন প্রকাশ করে। সিদ্ধান্ত হয়েছে ভোট হবে ২২ জানুয়ারি। গাইড লাইন মূলত প্রচারের উপর রাশ টানা হয়েছে। আগামিকাল, মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর জেলা শাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠক রয়েছে কমিশনের। সেখানে নির্বাচন পর্বে রাজ্যের করোনা বিধি ও কমিশনের গাইডলাইন সঠিকভাবে যায় মানা হয়, তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাও হবে।

একনজরে কমিশনের গাইড লাইন

(১) প্রতিটি পুরসভা এলাকায় একজন করে নোডাল হেলথ অফিসার নিয়োগ।

(২) কোনওরকম রোড-শো করা যাবে না। বাতিল পদযাত্রা, বাইক মিছিল, সাইকেল মিছিল। এই ধরণের প্রচারের আগের অনুমতি সব বাতিল।

(৩) খোলা জায়গায় সর্বোচ্চ ৫০০ জন নিয়ে সভা করা যাবে।

(৪) বন্ধ জায়গায় মোট আসনের ৫০% এবং সর্বোচ্চ ২০০ জন নিয়ে সভা করা যাবে।

(৫) প্রচারের সময়সীমা একঘন্টা কমিয়ে রাত ৮ টা পর্যন্ত।

(৬) ডোর টু ডোর প্রচারে প্রার্থী সহ সর্বোচ্চ ৫ জন।

(৭) ৪৮ ঘন্টার পরিবর্তে ভোট গ্রহণের ৭২ ঘন্টা আগে প্রচার শেষ।

(৮) প্রার্থীদের টিকার অন্তত একটি ডোজ বাধ্যতামূলক।

(৯) পোলিং এজেন্ট ও কউন্টিং এজেন্টদের , ভোটকর্মীদের দুটি ডোজ বাধ্যতামূলক।

(১০) শেষ একঘন্টায় করোনা আক্রান্তদের ভোট নেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা।