উত্তরপ্রদেশে সরকারি চিকিৎসক হিসেবে এখনও তাঁর সাসপেনশন বহাল। সেই সাসপেনশন প্রত্যাহারের জন্য ফের দাবি জানালেন চিকিৎসক কাফিল খান। রবিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এই দাবির সঙ্গে উত্তরপ্রদেশেও বিজেপি-বিরোধী মঞ্চ গড়া জরুরি বলে সাফ জানান কাফিল।২০১৭-য় গোরক্ষপুরে শিশু মৃত্যুর পর যা যা ঘটেছে তার সঙ্গে সেই ঘটনা বই আকারে প্রকাশ করলেন কাফিল খান।
এরই পাশাপাশি এরাজ্যে সরকার যদি তাকে জমি দিয়ে সাহায্য করে, তবে একটি কর্পোরেট ধাঁচে হাসপাতাল তৈরি করতে চান এই বিতর্কিত চিকিৎসক। এবং ওই হাসপাতালে গরিবদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হবে বলে জানান তিনি।
কিন্তু উত্তরপ্রদেশ ছেড়ে এখানে কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সে রাজ্যের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি।এ বছর উত্তরপ্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভোটে তাঁর অবস্থান নিয়ে কোনও রাখঢাক না করে কাফিল বলেছেন, বাংলার ঢঙে উত্তরপ্রদেশেও বিজেপি-বিরোধী মঞ্চ গড়া জরুরি। প্রস্তুতি চলছে। যোগী বাবাকে গোরক্ষপুরে ফেরত পাঠাতে মরিয়া চেষ্টা করব।
২০১৭-য় গোরক্ষপুরের বাবা রাঘব দাস মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেন-সঙ্কটে ৫৩ জন শিশুমৃত্যুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েই যোগী আদিত্যনাথ সরকারের ‘বিষনজরে’ পরেন কাফিল খান। কখনও কর্তব্যে গাফিলতির মিথ্যে অভিযোগ, কখনও নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে নেমে দেশের সুরক্ষা নষ্ট করার দায় তাঁর ঘাড়ে চাপানো হয়েছে। কিন্তু এলাহাবাদ হাইকোর্ট থেকে ‘নিষ্কলুষ’ তকমা আদায় করে বার বার স্বমহিমায় ফিরেছেন কাফিল। সুপ্রিম কোর্টেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা ধোপে টেকেনি। তবু কাফিল বললেন, যোগী সরকার আমার চাকরির বিষয়ে হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের কথা শুনছে না। তদন্ত রিপোর্ট চেপে যাচ্ছে। এ মাসেই ফের এলাহাবাদ হাই কোর্টে যাব আমি।
তাঁর ভ্রাম্যমান ডাক্তারখানা ‘ডক্টর্স অন উইল’কে সঙ্গে করে বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কাফিল।তাঁর আক্ষেপ, স্বাধীন দেশে কোনও সরকারই স্বাস্থ্যখাতে জাতীয় সম্পদের এক শতাংশ খরচ করেনি।এই পরিস্থিতেও তিনি তার লড়াই বজায় রাখবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন কাফিল।
































































































































