তিনদিনের সফরে মঙ্গলবার গোয়া গিয়েছেন তিনি। বুধবার, বিকেলে তিনি যান গোকর্ণ মঠে। সেখানে গিয়ে পুজো দেন। গোয়ায় সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো মঠ সেটি। সেখানকার শ্রীমদ বিদ্যাধীশ তীর্থ শ্রীপাদ ভাদের স্বামীজির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলাপচারিতা করেন অভিষেক। তাঁকে গোয়ার সমস্যার বিষয়ে জানান স্বামীজি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলায় তৃণমূল (TMC) সরকার ক্ষমতায় আসার পর তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে। গোয়াতে সে ধরনের উন্নতি আশা করেন তাঁরা। গোয়ার জিডিপি (GDP) বর্তমান বিজেপি (BJP) সরকারের আমলে নেমে গিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ওই মঠের প্রধান। তৃণমূলের জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলি গোয়ায় চালু হলে গোয়ার উন্নতি হবে বলে আশা তাঁর। দীর্ঘক্ষণ আলাপচারিতার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay) জানান, গোয়াতে একটি দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলার লক্ষ্য তৃণমূলের। তবে, এটা কোনও রাজনৈতিক বৈঠক নয়। এই প্রাচীন মতে তিনি এসেছিলেন আশীর্বাদ নিতে। মঠের স্বামীজির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ তাঁর গোয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। অভিষেক জানান, গোয়ার মানুষ নতুন ভোরের জন্য অপেক্ষা করছেন। ক্ষমতায় এলে দুমাসের মধ্যে গোয়ায় স্বচ্ছ প্রশাসন এবং জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করবে তৃণমূল।
বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ধাঁচে গোয়ায় গৃহলক্ষ্মী প্রকল্প চালু করতে চায় তৃণমূল। ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক পরিবারের একজন মহিলাকে মাসে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত আগ্রহ প্রকাশ করেন গোকর্ণ মঠের স্বামীজি। এতে নারীর ক্ষমতায়ন হবে বলে মত তাঁর। বেকারত্ব সমস্যা নিয়ম অভিযোগ করেন স্বামীজি। অভিষেক তাঁকে জানান, তৃণমূল ক্ষমতায় এলে সেখানে কর্মসংস্থানের বিষয়ে জোর দেওয়া হবে। কারণ প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে গোয়ায়। খনি থেকে শুরু করে জলবণ্টন সব সমস্যাগুলির সমাধান করার চেষ্টা করবে তারা।
মঠ থেকে বেরিয়ে গৃহলক্ষ্মী কার্ডের জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে আসা মহিলাদের সঙ্গে আলোচনা করেন অভিষেক। তাঁদের প্রতিশ্রুতি দেন, ক্ষমতায় আসার ২ মাসের মধ্যেই এই ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করবে তৃণমূল।
আরও পড়ুন- বিশ্বজুড়ে করোনার দাপট, বছরের প্রথম বিদেশ সফর বাতিল করলেন মোদি