কুলতলির বাঘ ধরতে যে দল কাজ করেছে তাঁদের সবাইকে পুরস্কৃত করা হবে: ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

0
2

বুধবার সকালে অবশেষে ডেরায় ফিরল বাঘ। টানা ছ’দিনের টানাপোড়েন শেষে মঙ্গলবার ধরা পড়ে কুলতলির ডোঙ্গাজোড়ার জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা বাঘটি। আর এই ছ’দিন দিনরাত, খাওয়াদাওয়া ভুলে ‘বাঘবাবু’কে যাঁরা ধরে ডেরায় ফিরিয়ে দিলেন সেই দলের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। সেই সঙ্গে বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই তাঁদের পুরস্কৃত করার কথাও ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

বুধবারের প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে টিম বাঘ ধরার কাজ করেছে, তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। কুলপি থানার সঙ্গে বন দফতরও ছিল। আপনারা অনেক ইনিশিয়েটিভ নিয়ে কাজটা করেছেন। যেসব কর্মী কাজ করেছেন, তাঁরা ৬-৭ দিন ধরে খাওয়া-ঘুম ভুলে লেগে ছিলেন। এটা একটা খুবই মারাত্মক কাজ! আপনারা এটা করে দেখিয়েছেন। আপনাদের পুরস্কৃত করা হবে।’ এরপরই তিনি মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে বিষয়টি দেখে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।

ছ’দিন লুকোচুরি খেলার পর মঙ্গলবার ঘুমপাড়ানি গুলির ঘায়ে বাঘটিকে কাবু করেন বনকর্মীরা। শেষমেশ বুধবার সকাল সাতটা নাগাদ তাকে রামগঙ্গা রেঞ্জের ঢুলিভাসানির জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। বন দফতর সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে। তবে জঙ্গলে ছাড়ার আগে বাঘটির শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়। জেলার মুখ্য বন আধিকারিক মিলন মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘আজ ভোর ৬টা ৫৫ মিনিটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামগঙ্গা রেঞ্জের বনদফতরের ঢুলিভাসানি-৪ জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হল কুলতলিতে খাঁচাবন্দি বাঘটিকে। মঙ্গলবার ধরার পর বনিক্যাম্পে বাঘটির শারীরিক পরীক্ষা করেন দু’জন অভিজ্ঞ পশু-চিকিৎসক। তবে বাঘটি পুরোপুরি সুস্থ থাকায় এদিন তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাঘটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বলে বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই খবরে বেশ কয়েকদিন পর নিশ্চিন্তে রাতে ঘুমোতে পেরেছেন কুলতুলির বাসিন্দারা। বাঘটি ধরা পড়ার পর রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, ‘এই শেষ কয়েকদিন আমাদের খুব অ্যাংজাইটিতে কেটেছে। ভয়ে ভয়ে ছিলাম। আমাদের চেষ্টা ছিল যে বাঘটিকে আমরা ধরবই। শেষ পর্যন্ত বন দফতর সাফল্য পেয়েছে। আমি বনদফতরকে ধন্যবাদ দিচ্ছি, একইসঙ্গে গ্রামবাসীদেরও ধন্যবাদ দিচ্ছি।’

আরও পড়ুন- Abhishek In Goa: গোয়ায় নতুন ভোর আসবে, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়াই লক্ষ্য: অভিষেক