Bansdroni Suicide:নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মঘাতী বাঁশদ্রোণীর যুবক, ঘটনার তদন্তে পুলিশ

0
1

দু’বার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েও অকৃতকার্য হয়েছিলেন। তৃতীয়বারের জন্য পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেলেন। এরই মধ্যে সংসারের অভাব অনটন। তাই রোজই প্রায় মায়ের সঙ্গে ছেলের ঝগড়া লেগে থাকত। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে সেই ঝামেলার পরিণতি চরমে পৌঁছয়। ঝগড়া চলাকালীন রান্নাঘরে থাকা ছুরি নিজের পেটে ঢুকিয়ে আত্মঘাতী হয় ছেলে। মঙ্গলবার রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বাঁশদ্রোণীর প্রগতি ময়দানে।

আরও পড়ুন:Snow Fall: দার্জিলিঙে প্রবল তুষারপাত, টাইগার হিল থেকে ঘুম ঢেকেছে বরফে

বাড়ির ভেতর থেকে আর্তনাদ ভেসে আসায় ছুটে যান প্রতিবেশীরা। এরপরেই রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে ছেলেটির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা। পুলিশ সূত্রে খবর, দু’বার অকৃতকার্য হয়ে পড়ার পরই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বাঁশদ্রোণীর বছর তেইশের রবীন দেবনাথ। তৃতীয়বার পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু গতবছর লকডাউনে কাজ হারায় তাঁর বাবা সুশোভন দেবনাথ। মা আয়ার কাজ করে কোনওমতে সংসার চালাতেন।সবমিলিয়ে সবসময় রবীনের বাবা-মায়ের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। কখনও কখনও ছেলের সঙ্গেও অশান্তি হতো তাঁদের।মঙ্গলবারের অশান্তিতে তাঁর ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। নিমেষের মধ্যেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন বছর তেইশের যুবক।  প্রতিবেশীরাদের দাবি, পড়াশোনা নিয়ে রবীনের সঙ্গে তাঁর বাবা-মায়ের নিত্যদিন ঝামেলা হত। কিন্তু ঝামেলার পরিণতি যে এমনটা হতে পারে তা তারা কল্পনাও করতে পারেননি। রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে রবীনকে পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা রবীনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় বাঁশদ্রোণী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে কী কারণে এমন ঘটনা ঘটালেন রবীন। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, মানসিক অবসাদেই এমন কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারেন ওই যুবক। ইতিমধ্যেই তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।