দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার শিল্পের উন্নতিতে বুধবার একাধিক আশার কথা শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন গঙ্গাসাগরে জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকেই বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উঠে আসে। জেলার মহেশতলায় আগেই একটি টেক্সটাইল হাবের পরিকল্পনা করেছিল রাজ্য সরকার। এদিন সেই টেক্সটাইল হাবের প্রসঙ্গও ওঠে বৈঠকে। হাবের কাজ কতদূর এগিয়েছে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, এরই মধ্যে হাবের জন্য প্রয়োজনীয় দশ একর জমি পাওয়া গিয়েছে। সেখানে বাউন্ডারি দেওয়াল তোলার কাজ শেষ। হাবের কাজ শুরু হয়েছে। মূলত পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি মডেলেই এই টেক্সটাইল হাব গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের বিভিন্ন চেম্বারগুলিকে এর সঙ্গে যুক্ত করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের অনেক ছেলেমেয়ে আছে যারা এ ধরনের কাজে আগ্রহী তাদের এর সঙ্গে যুক্ত করা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন— আক্রা, সন্তোষপুর বজবজ এ সব এলাকায় অনেক মানুষ দর্জির কাজ করেন। তাঁদের জন্যই এই হাবের পরিকল্পনা— জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্কুল ড্রেস তৈরির কাজে দর্জিদের আরও বেশি করে যুক্ত করার নির্দেশ দেন। এ ছাড়াও কুলপিতে কয়েক বছর আগে বেঙ্গল শিপইয়ার্ড নামে একটি কোম্পানি জাহাজ নির্মাণ ও মেরামতির কারখানা গড়ার জন্য ৫৪৩ একর জমি নিয়েছিল। কিন্তু তারা সেখানে কারখানা করছে না। কারণ, তা লাভজনক হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই জমিতে বিকল্প কোনও শিল্প গড়া যায় কিনা তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান স্থানীয় বিধায়ক। আইনি জটিলতা কাটিয়ে কিছু করার চেষ্টা করা হবে বলেও আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। গোটা রাজ্যে জনপ্রিয় জয়নগরের মোয়া নিয়েও তাঁর ভাবনার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই মোয়ার জিআই ট্যাগের জন্য আবেদন করছে রাজ্য। এর সঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের বিখ্যাত তালপাটালি ও খেজুরের রসের জিআই ট্যাগের জন্যও আবেদন করতে পারে রাজ্য সরকার। এদিন নিজের মুখেই সেকথা জানান খোদ মুখ্যমন্ত্রী। সবমিলিয়ে আগামী দিনে জেলার ছোট শিল্পগুলির প্রসারে রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন- কুলতলির বাঘ ধরতে যে দল কাজ করেছে তাঁদের সবাইকে পুরস্কৃত করা হবে: ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর