দক্ষিণ মেরুতে বরফে ঢাকা আন্টার্কটিকা (Antarctica)। সেখানেই ফলেছে সবজি। কীভাবে? বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে। ফসলের একটি কৃত্রিম ক্ষেত তৈরি করেছে জার্মান এরোস্পেস সেন্টার। ‘ইডেন আইএসএস’ (Eden ISS) নামে ওই কৃত্রিম ক্ষেতটি বানানো হয়েছে পূর্ব আন্টার্কটিকার ‘এক্সট্রম আইস শেল্ফ’-এর উপরে। জার্মানির গবেষণা শিবিরের নওমেয়্যার থ্রি স্টেশনের কাছে পুরু বরফের চাদরের উপর তৈরি হয়েছে কৃত্রিম ক্ষেত।
আরও পড়ুন:Tiger:অবশেষে খাঁচাবন্দি কুলতলির বাঘ

এই কৃত্রিম ক্ষেতে সূর্যের আলো ঢুকতে পারে না। এমনিতেই আন্টার্কটিকায় টানা ৬ মাস সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না। যখন রোদ ওঠে তখনও যাতে তা ওই কৃত্রিম ক্ষেতের ভেতর ঢুকতে না পারে, তার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে, সে জায়গায় কিন্তু আলো আছে। লাল, নীল, সবুজ নানা রঙের কৃত্রিম আলো যে ফসলের জন্য যে রঙের প্রয়োজন তা দেওয়া হয়।


তবে, কৃত্রিম ক্ষেতে ফসল ফলাতে মাটি লাগে না। কিন্তু এই ভাবেই সবজি ফলানোর প্রয়োজন কীসের? আসল কারণ, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ফসল ফলাতে গেলে তো মাটি মিলবে না। কিন্তু মহাকাশচারীদের খাবার জন্য ফসল প্রয়োজন। যাতে মাটি ছাড়াই ফসল ফলানো যায়, সেই কারণেই আন্টার্টিকায় ফসলের কৃত্রিম ক্ষেত বানিয়েছে ডিএলআর। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এর নাম— ‘এরোপোনিক্স’। এই পদ্ধতিতে নানা ধরনের পুষ্টিকর খাদ্য উপাদানের দ্রবণ স্প্রে করে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় শস্য, আনাজপাতির গাছের মূলে। গাছগুলি উপর থেকে কৃত্রিম ক্ষেতে ঝুলছে। এই পদ্ধতিতে আগামী দিনে চাঁদে বা মঙ্গলে মহাকাশচারীরা যে এই সব প্রয়োজনীয় ফসল অনায়াসেই ফলাতে পারবেন বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
































































































































