ক্যান্সার রোগীদের মুখে হাসি ফোটাতে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করলেন ‘হসপিটাল ম্যান’

0
1

শপথ নিয়েছেন রোগী ও তাঁর পরিজনদের মুখে হাসি ফোটাবেন। তাই বড়দিনের পরের দিন স্পেশাল খাবারের পাশাপাশি ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী এবং তাঁর পরিজনদের জন্য অভিনব উদ্যোগ নিয়েছিলেন ‘হসপিটাল ম্যান’। তাঁদের নিয়ে আয়োজন করেছিলেন একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার। চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালের প্রাঙ্গনেই আয়োজিত হয়েছিল এই অনুষ্ঠান।



আরও পড়ুন:ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত দিল্লিতে: বন্ধ স্কুল-কলেজ, ৫০ শতাং যাত্রী নিয়ে চলবে ট্রেন-মেট্রো

পেশায় পুলকার হসপিট্যাল ম্যান জানান, ‘গত পাঁচ বছর ধরে ওদের খাবার দিচ্ছি। কিন্তু এই অনাবিল হাসি কখনও দেখিনি। তাই তাঁদের মুখে সামান্য হাসি ফোটাতেই এই আয়োজন’।তবে শুধু প্রতিযোগিতা নয়, পাশাপাশি পুরস্কারেরও ব্যবস্থা করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, কালিঘাটের বাসিন্দা পার্থ কর চৌধুরী তিনটি সরকারি হাসপাতালে রোগী এবং তাঁর পরিজনদের তিনবেলা খাবার সরবরাহ করেন। তাও এক্কেবারে বিনামূল্যে। তাই পার্থ ‘হসপিটাল ম্যান’ বলেই পরিচিত। প্রথমে শুকনো খাবার দিয়ে শুরু করেছিলেন। চিড়ে, পাউরুটি, কলা। তারপর বিভিন্ন বিয়ের বাড়ি এবং রেস্টুরেন্টের লেফট ওভার। পুরোটাই একাহাতে।  যখন যতটা পেরেছেন রোগীর পরিজনদের মুখে তুলে দিয়েছেন খাবার। তাঁর কাছে রোগীর পরিজনরাও তাঁর আত্মীয়সম। অতিমারি পর্বে আর পাঁচজনের মতো যখন কাজ হারিয়েছেন পার্থ, তখনও  দমেননি। দু’বেলা রান্না করা খাবার নিয়ে হাসপাতালের গেটে পৌঁছে গিয়েছেন ‘হসপিটাল ম্যান’। গতবছর লকডাউনে স্কুল বন্ধ হওয়ার পর এটাই এখন তার রোজকার নামচা।পার্থর স্বপ্ন হাসপাতালের বাইরে ২৪ ঘন্টার একটি কমিউনিটি কিচেন গড়ে তোলা। যেখানে সবসময় খাবার পাবেন সরকারি হাসপাতালের রোগী এবং তাঁর পরিজনেরা।



৫২ বছরের পার্থ গত ২৬ তারিখ ক্যান্সার হাসপাতালের রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের মুখে হাসি ফোটাতে বেলুন ফোলানো, হাঁড়ি ভাঙা, স্পুন রেস সহ নানান প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলেন। রোগীদের খারাপ সময়ের মধ্যেও খানিকটা হাসি ফোটাতে পেরে বেজায় খুশি ‘হসপিটাল ম্যান’।