রবিবার দুপুরে হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল এক দম্পতির মৃতদেহ। ঘরের মেঝেতে পড়েছিল স্ত্রীর দেহ। ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় স্বামীর মৃতদেহ। মৃতদের নাম গৌতম মাইতি ও মৌসুমী মাইতি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন গৌতম মাইতি। রবিবার সকালে গৌতমবাবুর দুই মেয়ে আঁকার ক্লাসে গিয়েছিল। ফিরে এসে অনেক ডাকাডাকির পরেও কেউ দরজা খোলেনি। তারপর তারা পাড়া প্রতিবেশীদের ডেকে আনে। প্রতিবেশীরাও ডাকাডাকির পর কোনও সাড়া পাননি। এরপর খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখে মাটিতে চাদর ঢাকা অবস্থায় পড়ে রয়েছে মৌসুমী মাইতির দেহ। আর গৌতমবাবুর দেহ ঝুলছে সিলিং থেকে।
হাওড়ায় একটি পানশালায় ম্যানেজারের কাজ করতেন গৌতম বাবু। বছর তিনেক আগে সপরিবারে চ্যাটার্জিহাট এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। পুলিশ ও প্রতিবেশীদের অনুমান স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মঘাতী হয়েছেন গৌতম বাবু। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে আসক্তিকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর ঝামেলা লেগেই ছিল। পরিবারের দাবি, বেশিরভাগ সময়েই ফেসবুকে ব্যস্ত থাকতেন মৌসুমী। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ দুটি ফোনই বাজেয়াপ্ত করেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ফেসবুক সংক্রান্ত বিষয়ে খুন নাকি অন্য বিষয়!
আরও পড়ুন- Belur Math:রামকৃষ্ণ মিশনের ১২৫ বছর পূর্তিতে বেলুড় মঠে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী