আচার্য-বিতর্কে ফের সরব ধনকড়, “সস্তার বিনোদনমূলক মন্তব্য”, পাল্টা কুণাল

0
3

রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে বারবার অসহযোগিতামূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের(Jagdeep Dhankar) বিরুদ্ধে। দিনের-পর-দিন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আটকে রাখছেন তিনি এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি আচার্য পর থেকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে সরানোর বিষয়ে আলোচনার কথা বলেছেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu)। আর পাল্টা দিয়ে বৃহস্পতিবার তোপ দেখা গেল ধনকড়কে। কটাক্ষ করে তিনি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপাল পদে বসিয়ে দেওয়া হোক। যদিও রাজ্যপালের এহেন মন্তব্যকে পাল্টা তোপ দাগতে ছাড়লেন না তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ(KunalGhosh)।

রবিবার আচার্য বিতর্ক নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারকে রীতিমতো কটাক্ষ করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর করবেন। উনি ওঁকে রাজ্যপালই করে দিন।” যদি তাঁর মন্তব্যকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক শিবির। সঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কুণাল ঘোষ বলেন, “জগদীপ ধনকড় নানা ধরনের বিনোদনমুলক কথাবার্তা বলে থাকেন সেগুলোকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনো অর্থ নেই। শিক্ষামন্ত্রী যা বলেছিলেন তা হলো যারা শিক্ষাবিদ রয়েছেন তাদেরকে আচার্য পথে আনা যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা। রাজ্যপালকেই থাকতে হবে? মুখ্যমন্ত্রী পারবেন না বা শিক্ষাবিদরা পারবেন না? সেই জায়গা থেকে একটা ভাবনা চিন্তার কথা বলছেন শিক্ষা মন্ত্রী। বিষয়টি ইতিবাচক ও গঠনমূলক ভাবনা চিন্তা। তার প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল যা বললেন তা সস্তা বিনোদনমূলক মন্তব্য।”

আরও পড়ুন:বালি বিল নিয়ে রাজ্যপাল অসত্য, ভ্রান্তিকর কথা বলছেন: সৌগত

পাশাপাশি কুণাল ঘোষ আরও যোগ করেন, “সে হিসেবে উনি এটাও বলতে বাধ্য করছেন রাজ্যপাল পদটা একটা সাংবিধানিক পদ। কিন্তু জগদীপবাবু এটাকে বিজেপির পার্টি অফিস বানিয়েছেন। যিনি রাজ্যপাল পদটাকে বিজেপির হাতে তুলে দিয়ে এজেন্ট হিসেবে বসেছেন তার মুখে এসব মানায় না।”

উল্লেখ্য, সম্প্রতি শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের চূড়ান্ত অসহযোগিতামূলক কার্যকলাপের প্রেক্ষিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “রাজ্যের বিশ্ব বিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। দিনের পর দিন ফাইল ধরে রাখে, বিন্দুমাত্র সহযোগিতার মনোভাব না দেখালে আমাদের বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতেই হবে। অন্তত অন্তবর্তী সময়ের জন্য আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে আনতে পারি কি না সেই বিষয়ে আলোচনা করে দেখা হবে।”