মুকুল রায়ের(Mukul Roy) বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের আবেদন জানানো হয়েছে বিজেপির(BJP) তরফে। বিজেপির আবেদনের ভিত্তিতেই বিধানসভায় অধ্যক্ষর ঘরে শুনানিতে মুকুল রায়ের আইনজীবী জানালেন, “মুকুল রায় দলবদল করেননি তিনি বিজেপিতেই আছেন।”

এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল রায়। ভোটের পর তিনি ফের তাঁর পুরানো দল তৃণমূলে(TMC) যোগ দেন। শুধু তাই নয়, মুকুলকে পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদেও বসানো হয়। ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপি মুকুলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়। গত ১৭ জুন মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মামলাও দায়ের হয় হাইকোর্টে। বিধানসভার অধ্যক্ষের ঘরে এই আবেদনের শুনানিতে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের আইনজীবীরা অধ্যক্ষের কাছে একটি পিটিশন জমা দেন। সূত্রের খবর, পিটিশনে দাবি করা হয়েছে, মুকুল রায় বিজেপিতে আছেন। কখনও তৃণমূলে যাননি। যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, সেই সময় তাঁর স্ত্রী অসুস্থ ছিলেন। মাথার ঠিক ছিল না। সেই সময় তিনি হয়তো কোনও কর্মসূচিতে গিয়েছেন। তবে সবটাই ছিল সৌজন্যমূলক। তিনি কোনও দল বদল করেননি। এদিকে পাল্টা বিজেপির আইনজীবী জানিয়েছেন, আইনগতভাবে চিঠি দিয়ে প্রতিবাদ জানানো হবে। এ ব্যাপারে আগামী ৩ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন:জানুয়ারিতে রাজ্যজুড়ে দুয়ারে সরকার, জানুন কী কী পরিষেবা মিলবে ক্যাম্পে
অন্যদিকে আবার সম্প্রতি বোলপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুকুলের বক্তব্য রাজ্যজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। যেখানে অনুব্রতর উপস্থিতিতে মুকুলকে বলতে শোনা যায়, আগামী পুরভোটে বিজেপি বিপুল ভোটে জিতবে’। পাশ থেকে যখন কেউ একজন ‘তৃণমূল’ বলা উচিত বলে উল্লেখ করেন, তখন আবার তাঁকে বলা শোনা যায়, ‘তৃণমূল তো বটেই। ভারতীয় জনতা পার্টি মানেই তৃণমূল’! স্বভাবতই বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে যান অনুব্রত-সহ অন্য তৃণমূল নেতারা। বাবার এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পুত্র শুভ্রাংশু এদিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “বাবাকে ডাক্তার বলছে একটু বাইরে বেরোতে। ওয়েদার চেঞ্জের কথা বলছে। মাতৃ বিয়োগ ও কোভিডের পর বাবার পটাশিয়াম-সোডিয়াম লেভেলটাও ওঠা-নামা করছে। কোথাও কী করছে, কী বলছে, নিজেও বুঝতে পারছে না। এটা দলের বক্তব্য নয়। পুরোটাই বাবা ভুল বলেছে। আমি আপনাদের অনুরোধ করব, বাবার এই বক্তব্যগুলি বেশি না দেখানোর জন্যই। কারণ, বাবার মানসিক অবস্থাও ঠিক নেই। সেকারণেই এগুলি হচ্ছে।”












































































































































