১৩৪টি আসনে জিতে কলকাতা পুরভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে পুরসভা দখল করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এইসবের মাঝেই তিনটি ওয়ার্ড গিয়েছে নির্দল প্রার্থীদের দখলে। ঘটনা চক্রে এই তিন প্রার্থীই মহিলা। মঙ্গলবার স্রোতের বিরুদ্ধে জয়ের পর গণনা কেন্দ্র ছাড়ার আগে তিন নির্দল প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
কলকাতা পুরভোটে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ে পেয়েছেন ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে আয়েশা কনিজ, ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের রুবিনা নাজ ও ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডে পূর্বাশা নস্কর। এরা তিনজনই আসলে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে প্রার্থী হয়েছিলেন। জয়ের পর তাই নিজের ঘরে ফিরতে উদগ্রীব তাঁরা।
৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী সগুফতা পারভিনকে ২১১১ ভোটে হারালেন আয়েশা। জয়ের সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার পরই তিনি বলেন, ‘‘ওয়ার্ডের মানুষের দাবি ছিল আমি প্রার্থী হই। সেই কারণেই নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। মানুষ আমাকে সমর্থন করেছেন, এ বার মানুষের জন্য ওয়ার্ডে কাজ করতে চাই। মমতা দিদি মানুষের জন্য কাজ করতে চায়। আমরাও তেমনটাই চাই। তাই তৃণমূলে যোগ দিতেই পারি।’’
একইভাবে বন্দর বিধানসভার অন্তর্গত ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডেও একই চিত্র। তৃণমূল প্রার্থী আখতারি নিজামি শাহাজাদার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যান রুবিনা। তিনিও নিরাপদ ব্যবধানে জয় পেয়েছে। রুবিনার তৃণমূলে যোগদান শুধু সময়ের অপেক্ষা।
মেটিয়াবুরুজ বিধানসভার ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন নির্দল প্রার্থী পূর্বাশা নস্কর। এই কেন্দ্রে নতুন প্রার্থী হিসেবে শিবনাথ গায়েনকে মনোনয়ন দিয়েছিল তৃণমূল। সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে ওয়ার্ডের একাংশ কর্মী সমর্থকদের সমর্থন নিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়াই করে বাজিমাৎ করলেন তৃণমূলের যুবনেত্রী পূর্বাশা। ৫০৯ ভোটে জয় পান তিনি। তিনিও পুরোনো ঘর তৃণমূলে ফিরতে চান বলে জানিয়েছেন।
ফকে এই তিন মহিলা নির্দল প্রার্থী যদি শেষ পর্যন্ত তৃণমূলে যোগ দেন তাহলে কলকাতা পুরবোর্ডে ঘাসফুল শিবিরের আসন ১৩৪ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ১৩৬।
আরও পড়ুন- জায়ান্ট কিলার অরূপকে জিতিয়ে কেঁদে ফেললেন মন্ত্রী অরূপ