কৃষকদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে রীতিমতো লেজেগোবরে হয় প্রত্যাহার করতে হয়েছে ৩ কৃষি আইন। এহেন অবস্থায় কোণঠাসা মোদি সরকার(Modi Govt) এবার জৈব ও প্রাকৃতিক চাষ কৃষকদের জন্য কতটা উপযোগী তা বোঝাতে গিয়ে আজব দাবি করে বসলেন গুজরাটে(Gujrat)। তিনি জানালেন কৃষি গবেষণাকে রাসায়নিক ল্যাবের(chemical lab) বাইরে এনে প্রাকৃতিক পরীক্ষাগারের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে এজন্য গোবর ও গোমূত্রের প্রতি ভরসা রাখার ডাক দিলেন তিনি। কার্যত বুঝিয়ে দিলেন কৃষিক্ষেত্রে গোমাতা কতখানি তাৎপর্যপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার গুজরাটে আয়োজিত ন্যাশনাল কনক্লেভ অন ন্যাচারাল ফার্মিংয়ের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত হয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে কৃষি ক্ষেত্রে সবুজ বিপ্লবের মাধ্যমে আত্মনির্ভর হওয়ার রাস্তায় রাসায়নিক সার যে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল তা মেনে নেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি প্রথাগত পদ্ধতি গুলির ভুলভ্রান্তি শুধরে নিয়ে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ‘বিকল্প’ খোঁজার ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী। আর তা করতে গিয়েই ‘গোবর’ ও ‘গোমূত্রে’র পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন কৃষি রাসায়নিক লাইফ থেকে বাইরে এনে প্রকৃতির পরীক্ষাগারে যুক্ত করতে হবে। প্রাকৃতিক চাষও বিজ্ঞাননির্ভর। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ‘ল্যাব টু ল্যান্ড’ নীতি গ্রহণের আর্জি জানান মোদি। এই নীতি মেনেই কৃষি গবেষণাকে ‘নতুন দিশা’ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। যাতে ‘গোবর’ ও ‘গোমূত্র’ নির্ভর প্রাকৃতিক চাষের মাধ্যমে কৃষকরা ‘লাভবান’ হতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি, ‘রাসায়নিক সার ও কীটনাশক চাষের খরচ বাড়ায়। দাম বাড়ে খাদ্যশস্যেরও। রাসায়নিক সার ছাড়া শস্যের ভালো উৎপাদন সম্ভব নয়, এই ধারণা ভুল।’
এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রাকৃতিক চাষকে ‘গণ-আন্দোলনে’ পরিণত করার ডাক দেন সব রাজ্যের কাছে। তাঁর আবেদন, প্রাথমিকভাবে সব পঞ্চায়েতে অন্তত একটি করে গ্রামে জৈব পদ্ধতিতে চাষ করানো হোক। কৃষকরা তাঁদের জমির ছোট অংশ দিয়ে এই কাজ শুরু করতে পারেন। ফলাফল খতিয়ে দেখার পর এই চাষের পরিধি বৃদ্ধি করা যেতে পারে।’ প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এই নয়া পদ্ধতিতে চাষ করলে লাভ বাড়বে কৃষকদের। পাশাপাশি, এদিনের অনুষ্ঠান থেকেই বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংস্থাকে জৈব চাষে বিনিয়োগের আবেদন জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘গোটা বিশ্বের বাজার আপনাদের অপেক্ষায়।’