রাজ্য পুলিশের উপরেই আস্থা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আর তারপরই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব বিজেপি। পাল্টা ধুয়ে দিলেন কুণাল ঘোষ। হাইকোর্টের রায়ের পরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের চাপ সৃষ্টি করে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি খারিজ হয়নি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব দিয়েছে হাইকোর্ট। ১৯ তারিখ সারারাজ্যের বিজেপি-র নজর থাকবে কলকাতায়। কোথাও কোনও অভিযোগ এলে, তাঁরা বিক্ষোভে নামবেন।“ এই মন্তব্যের পাল্টা তীব্র আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সুপ্রিমকোর্ট পুরভোট মামলা নিয়ে গিয়েছে গলা ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। হাইকোর্টেও পরপর দুদিন মুখ পুড়েছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “উনি সরীসৃপ। মানসিক বিকারগ্রস্ত। মেরুদণ্ডহীন সরীসৃপ। শুভেন্দু মানসিক হতাশা থেকেই এই কথা বলছেন।“
কুণাল প্রশ্ন তোলেন, “ত্রিপুরার হামলা, মামলা, থানায় হামলা ভুলে গেল?” এরপরেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে কুণাল বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী জেনে রাখুক, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী বারবার আসার পরেও বিধানসভা নির্বাচন-উপনির্বাচনে গোহারা হেরেছে বিজেপি। শুভেন্দুকে দলে কেউ মানে না। বিজেপি প্রার্থী পায় না। কর্মী পায় না। সিঙ্গুরে আন্দোলনে লোক পায়নি। এমনকী, দলীয় সাংসদও যাননি।“ কলকাতা পুরভোট আবাধ ভোট হবে। তৃণমূল জিতবে- মন্তব্য করেন কুণাল।
কলকাতা পুরভোটে (Kolkata Municipal Election) বিজেপির করা কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) দাবি খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের তরফ থেকে নির্বাচন পরিচালনার জন্য আস্থা রাখা হয়েছে রাজ্য পুলিশের উপরেই।