সভ্যতার ইতিহাসে প্রথমবার এক অনন্য নজির গড়ল নাসা(Nasa)। সৌরজগতের ‘কর্তা’ সূর্যকে(Sun) স্পর্শ করলো নাসার তৈরি সৌরযান পার্কার সোলার প্রোব। নাসার তৈরি এই সৌরযান সূর্যের আবহাওয়া মন্ডলের বাইরের স্তর করোনা অঞ্চলে প্রবেশ করতে সক্ষম হলো। বলার অপেক্ষা রাখে না এই সাফল্য বিজ্ঞানের অন্যতম বড় একটি মাইলফলক। যদিও ৮ মাস আগেই এই মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলেছিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

সম্প্রতি আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে নাসার হেলিওফিজিক্স শাখার কর্তা নিকোলা ফক্স জানিয়েছেন, “অবশেষে আমরা পৌঁছে গিয়েছি। মানবসভ্যতা সূর্যকে স্পর্শ করল।” সূর্যের যে অংশে ওই সৌরযান প্রবেশ করেছে তা নিয়ে মানুষের মনে কৌতুহল দীর্ঘদিনের। ফলে সেখানে মানুষের তৈরি কোন সৌরযানের প্রবেশ নিঃসন্দেহে এক বিশাল কৃতিত্ব। এপ্রসঙ্গে ‘নেচার’ পত্রিকাকে কলোরাডোর এক সৌর বিশেষজ্ঞ ক্রেগ ডিফরেস্ট জানাচ্ছেন, ”এটা একটা বিরাট মাইলস্টোন।”
আরও পড়ুন:ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা উদ্বেগজনক: চিঠি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর, ‘সুশাসনের প্রমাণ’ মোদিকে তোপ সুবলের
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে গত ২৮ এপ্রিল নাসার মহাকাশযান সূর্যের বলয় প্রবেশ করলেও এতদিন পরে কেন তা প্রকাশ্যে আনা হলো? এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞানীরা বলেন, এই কয়েক মাসে ওই যান থেকে প্রাপ্ত সমস্ত তথ্য ডাউনলোড করে তাকে ব্যাখ্যা করেছেন তাঁরা। তারপরই তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন ওই কীর্তি সম্পর্কে।
উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালে সূর্যের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল পার্কার। এরপর থেকেই সূর্যের নানা ছবি পাঠাতে দেখা গিয়েছে সেটিকে। যা সূর্য সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য জানতে অনেক সাহায্য করছে বলেই মত বিজ্ঞানীমহলের। এবার সূর্যের একেবারে করোনা অঞ্চলে প্রবেশ করার এই কীর্তি আগামী দিনে সৌরজগতের কর্তাকে বুঝতে আরও বিস্তৃত ভাবে বুঝতে সাহায্য করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ২০২৫ সাল পর্যন্ত তার অন্বেষণ চালিয়ে যাবে পার্কার। সূর্য ও তার চৌম্বক ক্ষেত্র-সহ আরও নানা বিষয়ে নতুন নতুন তথ্য সরবরাহ করে চলবে ওই সৌর যান।












































































































































