TMC Manifesto: কলকাতার ১০ দিগন্ত: নির্বাচনী ইস্তেহারে কলকাতার উন্নয়নে প্রধান ১০টি প্রতিশ্রুতি তৃণমূলের

0
7

আরও উন্নয়ন করা হবে কলকাতার। কল্লোলিনী আরও তিলোত্তমা হবে। পুরভোটের ইস্তেহার প্রকাশ করে প্রতিশ্রুতি তৃণমূলের (Tmc)। পূর্বনির্ধারিত মেনেই শনিবার দুপুর দুটো নাগাদ নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি (Subrata Baksi)। ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)-সহ তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতানেত্রীরা। ছিলেন কলকাতা (Kolkata) পুরভোটের প্রার্থীরা।

ইস্তেহারে *প্রধানত ১০টি প্রতিশ্রুতির* কথা রয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে *’কলকাতার ১০ দিগন্ত’* । ইস্তেহার প্রকার করে সুব্রত বক্সি জানান, কলকাতায় নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে তবে সেটা আরও উন্নত করা হবে। তালিকায় প্রথমেই রয়েছে

*নিকাশি ও নর্দমা ব্যবস্থা* অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে জল সমস্যার মোকাবিলা করা হবে। ২০০টি পাম্প সরবরাহ, পাম্পিং স্টেশন এবং লাইনগুলির উন্নয়ন করা হবে। এবিষয়ে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হবে। নর্দমাগুলিতে যাতে আটকে না থাকে, তার জন্য নিয়মিত পরিষ্কার করা হবে। টাইলস ও ফলক দিয়ে উন্মুক্ত নর্দমা ঢাকা হবে। জমা জল নর্দমা থেকে খাল পর্যন্ত নিকাশির সুবিধা, আদিগঙ্গা সংস্কারের মতো বিষয়।

*সড়ক পরিকাঠামো উন্নয়নে* র ওপর জোর দেওয়া হবে। ট্রাফিক সমস্যা সমাধানে চলমান সিঁড়ি-সহ ওভার ব্রিজ তৈরি করা হবে।
*জল সরবরাহের* ক্ষেত্রে জোড়াবাগান, গড়িয়া এবং জয় হিন্দ শোধনাগারের ক্ষমতাবৃদ্ধি এবং বিশুদ্ধ জল সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। ৫০টি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন স্থাপন করা হবে।
নির্মল কলকাতার অধীন বৈজ্ঞানিকভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হবে।
এর পাশাপাশি ইস্তেহারে *নাগরিক বান্ধব কলকাতার* কথা বলা হয়েছে। অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত আলো, সুলভ শৌচালয় এবং পার্কিংয়ের সুবিধা এবং সমস্ত নাগরিক সুযোগসুবিধা দেওয়া হবে। বাজারগুলির মানোন্নয়ন করা হবে।
*শিক্ষার* ক্ষেত্রে পুর-স্কুলগুলির মানোন্নয়ন করা হবে। ২৬৩টি মিউনিসিপ্যাল স্কুলের মধ্যে ১০০টি স্কুলকে ইংরেজি মাধ্যমে রূপান্তরিত কার হবে। স্মার্ট ক্লাসরুম ও শিক্ষার্থীদের বিকাশকে আরও সমৃদ্ধ করা হবে।
*স্বাস্থ্য* ক্ষেত্রে কলকাতায় 30টি ডেঙ্গি নির্ধারণ কেন্দ্র তৈরি হবে। বাড়ি বাড়ি করোনার টিকাকরণের ওপর জোর দেওয়া হবে। টিকাদান ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি *সমাজকল্যাণ, প্রশাসনিক প্রক্রিয়া, সংস্কৃতি ও পর্যটনে* জোর দেওয়া হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে সমস্যা নিষ্পত্তি সেল গঠিত হবে।
ফ্লাইওভার ও মেট্রোর পিলারগুলির সবুজায়নের প্রসার দেওয়া হবে। বিলুপ্ত লাইটগুলির জায়গায় এলইডি লাইট দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হবে। সমস্ত ওয়ার্ডে সর্বাধিক ৩০ মিটার দূরত্বে রাস্তায় বাতিস্তম্ভ স্থাপন। নারীদের জন্য বিশেষ শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

ইস্তেহার প্রকাশ করে সুব্রত বক্সি বলেন, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আরো উন্নত করা হবে কলকাতার নাগরিক পরিষেবা। তৃণমূলের জামানায় কলকাতা তিলোত্তমা হয়ে উঠেছে। তাকে আরও তিলোত্তমা করে তোলা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা পুরভোটের ফল প্রকাশের পরে কলকাতাতেই যেন তৃণমূলের বিজয়োৎসব করা হয়, নেত্রীর কাছে সেই আবেদন রাখবেন বলে জানান। কলকাতা পুরভোটের প্রত্যেক প্রার্থীর কাছে দ্রুত পৌঁছে যাবে নির্বাচনী ইস্তেহার।

আরও পড়ুন:বিল সই করতে নারাজ ধনকড়, ‘বাংলার শত্রু’ বলে রাজ্যপালকে তোপ কুণালের