মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় আচমকা প্রাণ হারিয়েছেন দেশের প্রথম চিফ অফ স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত। পরবর্তী সিডিএস কাকে করা হবে, তা নিয়ে রীতিমতো সমস্যায় মোদি সরকার। বুধবার সন্ধ্যায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রি গোষ্ঠীর বৈঠক বসে ৭ লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। লক্ষ্য, যত দ্রুত সম্ভব পরবর্তী সিডিএস-এর নিযুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অতিম শাহ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালরা উপস্থিত হন।
একদিকে চিনের আগ্রাসন, অন্যদিকে পাকিস্তানের জঙ্গি কার্যকলাপের মাঝে সিডিএসের অকাল প্রয়াণ যে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক বড় ধাক্কা, তা বলাই বাহুল্য। এই আবহে অনেকেই মনে করছেন যে ভারতীয় সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানেকেই পরবর্তী সিডিএস ঘোষণা করা হতে পারে। সরকার যদি সিনিয়রিটির ভিত্তিতেই সিডিএস নিযোগ করে, সেক্ষেত্রে জেনারেল নারাভানেই পরবর্তী সিডিএস হবেন। বাকি দুই বাহিনীর প্রধানরা জেনারেল নারাভানের থেকে দুই বছর ছোট। এদিকে জেনারেল নারাভানেকে সিডিএস পদে বসানো হলে সেনা প্রধানের পদটি ফাঁকা হয়ে যাবে। সেনায় জেনারেল নারাভানের পর সবচেয়ে সিনিয়র আধিকারিকরা হলেন সেনার উপ-প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল সিপি মহান্তি এবং নর্দার্ন কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াইকে যোশী।
২০১৯-এর ৩১ ডিসেম্বর সেনাপ্রধান হিসেবে কার্যকাল শেষ করেন জেনারেল রাওয়াত। সরকার পরবর্তী সময়ে সেনার চাকরির মেয়াদ ৬৫ বছর করে, যাতে স্থল-নৌ কিংবা বায়ু সেনার প্রধান থেকে সিডিএস বেছে নেওয়া যায় এবং নির্দিষ্ট ব্যক্তি ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করতে পারেন। সেদিক থেকে দেখতে গেলে ২০২১-এর মার্চে জেনালের রাওয়ার ৬৩ বছরে পড়েছেন। তাঁর আরও প্রায় ২ বছর চাকরি ছিল।
১৯৯৯ সালে কারগিল যুদ্ধের পরে কারগিল রিভিউ কমিটি সিডিএস পদের সুপারিশ করেছিল। কিন্তু তা কার্যকর করতে ২০১৯-এর ২৪ ডিসেম্বর হয়ে যায়। ওইদিন নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি সিডিএস পদের ঘোষণা করে। সেখানে বলা হয়, তিন বাহিনীর প্রধানদের মধ্যে থেকে সিডিএস বেছে নেওয়া হবে।