Ambulance: পাহাড়ের মানুষের স্বাস্থ্যের ভাবনা, বক্সার দুর্গম রাস্তাতে পালকি অ্যাম্বুলেন্স

0
3

উত্তরঙ্গ উন্নয়নের লক্ষ্যে একাধিকবার পাহাড়ে ছুটেছেন পাহাড়ে। চা বাগানের শ্রমিক থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষিত করতে পাহাড়কে ঢেলে সাজিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Bandyopadhaya)। এবার তাঁরই হাত ধরে দুর্গম বক্সাতেও পৌঁছে গিয়েছে উন্নয়ন। বক্সা পাহাড়ে তৈরি হয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র। শুধু তাই নয়, পাহাড়ের মানুষদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ওই দুর্গম পথ পেরিয়ে অ্যাম্বুলেন্স যাওয়ার রাস্তাও তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন:Sayantika Banerjee: জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার কবলে সায়ন্তিকা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন অভিনেত্রী

পাহাড় কেটে কোনওরকম হয়েছে রাস্তা। গাড়ি ওঠাই যেখানে দুষ্কর সেই দুর্গম বক্সায় চালু হল অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা! আর পাঁচটা অ্যাম্বুল্যান্সের থেকে এটি আলাদা। পালকি অ্যাম্বুল্যান্স। রাজ্যে তো বটেই, দেশের মধ্যে সম্ভবত প্রথম এই ভাবনা। বুধবার বিকেল থেকে  শুরু হয়েছে বক্সা পাহাড়ের জিরো পয়েন্ট থেকে এই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা। সিনচুলা পাহাড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বক্সা, লেপচাখা, তাসিগাঁওয়ের মতো ১৩টি পাহাড়ি গ্রাম। আর এই সমস্ত গ্রামে বসবাসকারী বাসিন্দাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে, বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনতে বাঁশের মাচায় কাপড় বেঁধে কাঁধে করে  ঝুলিয়ে আনতে হত খুব ঝুঁকি নিয়ে। এখানকার মহিলাদের বেশির ভাগই এই ফাইভ জি’র যুগেও বাড়িতেই সন্তান প্রসব করেন পাহাড়ের দুর্গমতার কারণে। তবে এবার তাঁদের সমস্যা মিটতে চলেছে এই পালকি অ্যাম্বুল্যান্সের হাত ধরে। এই পালকি অ্যাম্বুল্যান্সে অন্যান্য অ্যাম্বুল্যান্সের মতোই প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম রাখা থাকবে। থাকবে একটি মিনি অক্সিজেন সিলিন্ডার, স্যালাইনের ব্যাবস্থা, এমনকী গরম জল ও বাচ্চা রাখার আলাদা বিছানাও। যাঁরা এই পালকি, মানে অ্যাম্বুল্যান্স বহন করবেন তাঁদের জেলা স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)থেকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।

বুধবার এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফ থেকে স্বাস্থ্য দফতরের সহায়তায়  এই  পরিষেবা  চালু হল বক্সায়। রেকর্ড তৈরি করে এই অ্যাম্বুল্যান্সের নাম হয়তো পৌঁছে যাবে গিনেস বুকেও। এক কথায়, এই পরিষেবা দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।