AFSPA: নাগাল্যান্ডে ঘটনার পর ফের বিতর্কে আফস্পা, কী এই আইন?

0
2

নাগাল্যান্ডে (Nagaland) সেনার গুলি চালানোর ঘটনার পর ফের আফস্পা (AFSPA) আইন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও (CM Neiphiu Rio) বলেছেন, আফস্পা আইন প্রত্যাহারের জন্য তিনি কেন্দ্রীয় সরকারর কাছে প্রস্তাব দেবেন। ইতিমধ্যেই সংসদে এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা। বিরোধীরা সংসদে আফস্পা আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন-Rape:৩ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ, অভিযুক্তকে গ্রেফতারির পরই একঘরে নির্যাতিতার পরিবার

আফস্পা (AFSPA) কী?

১৯৫৮ সালের সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন। দ্য আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট (Armed Forces (Special Powers) Act) সংক্ষেপে আফস্পা। উপদ্রুত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী কোনও পদক্ষেপ করলে তার বিরুদ্ধে যাতে কোনও আইনি পদক্ষেপ না করা হয়, আফস্পা আইনে সেই রক্ষাকবচও দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীকে৷ সন্দেহের বশে গুলি করে মারলেও ‘রক্ষাকবচ’ পায় বাহিনী। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় না। এই আইনে পরোয়ানা ছাড়া গ্রেফতারি ও তল্লাশি চালানোর ক্ষমতাও রয়েছে সেনা বাহিনীর।

বিতর্কিত ৪ ও ৬ নম্বর ধারা- কী রয়েছে এই ধারাগুলিতে?

আফস্পা-র ৪ নম্বর ধারা- যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার দেয় বাহিনীকে।
৬ নম্বর ধারা- মৃত্যু ঘটলেও বিচারের ক্ষেত্রে আইনি রক্ষাকবচ পাওয়া যায়। তবে, ৪ নম্বর ধারায় একথাও বলা হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আধিকারিক আবশ্যিক বুঝলে তৎক্ষণাৎ গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে পারবেন। গুলি চালানোর আগে সতর্ক করা বাধ্যতামূলক।

সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) কী বলছে?
ভুয়ো সংঘর্ষের একটি মামলায় ২০১৬ সালে দেশের শীর্ষ আদালত বলেছিল, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৬ নম্বর ধারা সম্পূর্ণ আইনি রক্ষাকবচ দেয় না। মৃত্যুর কোনও ঘটনা যদি যুক্তিহীন মনে হয়, তাহলে সরকার তদন্তের নির্দেশ দিতে পারে।

বর্তমানে আফস্পা জারি রয়েছে অসম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, অরুণাচলের ৩ জেলা এবং ওই রাজ্যেরই অসম সীমানা লাগোয়া ৮টি থানায়। জম্মু ও কাশ্মীরে ১৯৯০ সালের পৃথক একটি আইনে বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর হাতে।

কেন্দ্রীয় সরকার আরও জানিয়েছিল, মণিপুর এবং অসমের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দুই রাজ্যের সরকারই উপদ্রুত এলাকাগুলি চিহ্নিত করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল৷ কিন্তু রাজ্যের যে এলাকাগুলিকে উপদ্রুত হিসেবে চিহ্নিত করে আফস্পা বলবতের বিজ্ঞপ্তি জারি করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেনি নাগাল্যান্ড সরকার৷

গুলি চলার ঘটনায় ইতিমধ্যে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ নাগা যুবকদের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে। যদিও এরপরেও উত্তপ্ত নাগাল্যান্ড। বিশেষ করে মন গ্রামে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সেখানকার মানুষরা।

আরও পড়ুন-Hariyana: হরিয়ানায় তৃণমূলের কার্যালয় উদ্বোধনের আগে শুভেচ্ছা মমতা-অভিষেকের

অবিলম্বে আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি তুললেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা এনপিপি দলের নেতা কর্নাড সাংমা। বিজেপি পরিচালিত এনডিএ-র শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টি বা এনপিপি। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি ঘিরে স্পষ্টতই বিড়ম্বনা এনডিএ অন্দরে। তবে শুধু মিজোরাম নয়, আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে নাগাল্যান্ড থেকেও। খোদ সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের কাছে এই দাবি রেখেছেন।