কঠোর অভিষেক : বৈঠকে অনুপস্থিতদের শোকজ চিঠির নির্দেশ

0
1

দলীয় শৃঙখলা ভাঙলে কাউকেই রেয়াত করা হবে না। বরদাস্ত করা হবে না কোনও বেনিয়ম। দিল্লিতে সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিলেন সাংসদ ও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে বৈঠকে অনুপস্থিতদের নোটিশ ধরাতে চলেছেন লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই চারজন হলেন, শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী, মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহান। অভিযোগ, আগাম জানানো সত্ত্বেও তাঁরা মঙ্গলবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। অনুপস্থিতির কারণও তাঁরা জানাননি।

অনুপস্থিতদের মধ্যে ছিলেন শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী। বিধানসভা ভোটের আগে শিশির অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেন বলে খবর। দিব্যেন্দুও বাবার পথ অনুসরণ করেছিলেন। তাদের না আসাই প্রমাণ করছে দুজনের রাজনৈতিক অবস্থান। ফলে তাঁদের কাছে শোকজ নোটিশ পাঠানো নিশ্চিতভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। বৈঠকে না আসা দলের আরও দুই তারকা-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহানকেও না আসার কারণ জানাতে হবে।

আরও পড়ুন-Mamata Banerjee: গ্রামাঞ্চলে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে BSF: কর্ণজোড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী

সংসদের ৬৩ নম্বর ঘরে দুপুরে দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের পারফরম্যান্সে খুশি অভিষেক বলেন, সংসদে দলের আরও ধার ও ভার বাড়াতে হবে। প্রত্যেকটি ইস্যু ধরে আলোচনা করতে হবে। প্রতিবাদ, ধরণা, বিক্ষোভ হবে সংসদীয় নিয়ম মেনেই। প্রত্যেকটি অধিবেশনে হাজির থাকতে হবে। কেন্দ্রের সরকারকে প্রত্যেকটি ইস্যুতে প্রশ্নের মুখে ফেলতে হবে। সে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে যেতে হবে। প্রয়োজনে দিল্লি থেকে রাজ্যে রাজ্যে আদোলনে নামতে হবে। দল রাজ্যে রাজ্যে শাখা বিস্তার করছে। এই পরিস্থিতিতে সংসদের ফ্লোরকে যেমন ব্যবহার করতে হবে, তেমনি রাজ্যে রাজ্যে সেই ইস্যুকে আন্দোলনে নিয়ে যেতে হবে। এই ধরণের বৈঠক আগামিদিনে আরও বেশি হবে বলে জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।