স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসিতে (SSC) গ্রুপ ডি ভুয়ো নিয়োগের মামলায় সিট বা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।গ্রুপ ডি (Group D) নিয়ে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ খারিজ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। এই নির্দেশ খারিজ করল বিচারপতি হরিশ টন্ডন, রবীন্দ্রনাথ সামন্তর বেঞ্চ। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে এই সিট গঠন করে তদন্ত হবে। থাকবেন মোট চার সদস্য। প্যানেলের মেয়াদ শেষের পরেও স্কুলে এসএসসির গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মামলায় সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
এর আগে এই মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাদের আর্জি ছিল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কেন? প্রয়োজনে অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে এই তদন্ত এগোক।
২ মাসের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট দেবে বিশেষ দল। দলের সমস্ত ব্যয়ভার বহন করবে রাজ্য। এদিনের শুনানিতে আদালত জানিয়েছে, আগামীকালের মধ্যে এসএসসি সমস্ত সুপারিশপত্র হাইকোর্টে জমা করবে। রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে এই সুপারিশপত্র জমা করতে হবে। এদিন বিচারপতি হরিশ টন্ডন বলেন, ন্যূনতম অনিয়ম হয়ে থাকলেও, তদন্ত করতেই হবে। আদালত নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারে না।
গত ২২ নভেম্বর স্কুলে গ্রুপ-ডি কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় এবার CBI’কে দিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
নিয়োগের জন্য যে সুপারিশপত্রগুলি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি কে ইস্যু করেছিল? এর পিছনে কাদের হাত রয়েছে? কোনও দুষ্কৃতীচক্র আছে কি না? প্রাথমিকভাবে তা খোঁজখবর নিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI এমনইটাই, নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
আরও পড়ুন- Jagdeep Dhankhar:পুরভোটের প্রস্তুতি নিয়ে ফের রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তলব ধনকড়ের
এরপরই এসএসসি গ্রুপ ডি ‘দুর্নীতি’ মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশন ও পর্ষদকে নিয়োগ সংক্রান্ত সব নথি জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। সবদিক পর্যালোচনা করে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ খারিজ করে দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
২০১৬ সালে রাজ্যে গ্রুপ ডি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। সেই মতো ১৩ হাজার নিয়োগ হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে সেই গ্রুপ ডি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। তারপরেও একাধিক নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশের কথা জানা গিয়েছে। সেই তথ্য হাইকোর্টের হাতে আসে। কী ভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ নিয়োগ তালিকা থেকে নিয়োগ তারই কৈফিয়ত চায় হাইকোর্ট। মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ।


































































































































