ডিপফ্রিজে কংগ্রেস, বিরোধীদের ভরসা মমতা: জাগো বাংলায় তোপ তৃণমূলের

0
2

সময় যত গড়াচ্ছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তৃণমূলের(TMC) আক্রমণ বেড়ে চলেছে ততই। এবার তৃণমূলের দলীয় মুখপাত্র জাগো বাংলায় কংগ্রেসকে তোপ দেগে বলা হল কংগ্রেস ডিপফ্রিজে চলে গিয়েছে। পাশাপাশি জাগো বাংলার(JagoBangla) আরও দাবি, কংগ্রেসের(Congress) নেতারা এখন ঘরবন্দি ও টুইট সর্বস্ব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বিরোধী জোট গঠনের দায়িত্ব দিয়েছে বিরোধীরা।

‘ডিপফ্রিজে কংগ্রেস’ শিরোনামে এদিন জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, “কংগ্রেসের মধ্যে সেই উত্তাপ, ঝাঁঝটাই যেন কমে গিয়েছে৷ দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেওয়ার পরেও কোথায় আক্রমণ! উল্টে দলের ভিতরেই নেতৃত্বকে নিয়ে কোন্দল এবং দিনের শেষে দলের অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব গুলাম নবি আজাদের বিস্ফোরক ট্যুইট৷ ট্যুইটে কাশ্মীরি এই নেতা পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, আগামী লোকসভা ভোটে মোটেই ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই কংগ্রেসের৷ ক্ষমতা থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে কংগ্রেস৷ যে কথা তৃণমূল এতদিন ধরে বলে বারবার বলে আসছে, সেই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল গুলাম নবির কথায়।”

আরও পড়ুন:BJP: দিলীপ-হিরণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের উত্তপ্ত খড়গপুর, চরম অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির

এর পাশাপাশি সম্প্রতি মুম্বইয়ে মমতা দাবি করেছিলেন ইউপিএ বলে কিছু নেই আর। সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করে জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে এদিন লেখা হয়েছে, “ইউপিএ শেষ, বিরোধী জোট দরকার৷ দলীয় কোন্দল আর রক্তক্ষরণে কংগ্রেস এতটাই বিদীর্ণ যে দল ধরে রাখাই সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ পঞ্জাব থেকে গোয়া- ত্রিপুরা সেই কথাই বুঝিয়ে দিচ্ছে৷ অথচ সাম্প্রদায়িক. অগণতান্ত্রিক, জনবিরোধী, শ্রমিকবিরোধী, কৃষকবিরোধী শক্তি বিজেপি-কে হারানোর জন্য বিকল্প জোটের আশু প্রয়োজন৷ সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কংগ্রেস যেন পার্টিকে ডিপফ্রিজে বন্দি করে রেকেছে৷ সামান্য লোক দেখানো আন্দোলন ছাড়া নেতারা কার্যত ঘরবন্দি, ট্যুইট সর্বস্ব৷” বিরোধী জোট প্রসঙ্গেও জাগো বাংলার দাবি, “দেশের এই মুহূর্তে বিরোধী শক্তির জোটের দরকার৷ সেই দায়িত্ব বিরোধীরাই দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রীকে৷ কারণ, তিনিই এখন সর্বজনগ্রাহ্য বিরোধী মুখ, জনপ্রিয় মুখ৷ তাঁর দিকে তাকিয়ে বিরোধী শক্তি।”

উল্লেখ্য, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে নজরে রেখে ইতিমধ্যেই কোমর বাধতে শুরু করেছে তৃণমূল। কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী জোট তৃণমূল মানবে না একথা আগেই পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় চিরকাল কর্তৃত্ব করা কংগ্রেসকে সাইডলাইনে রেখে বিরোধীদের একজোট করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। দেশের নানা প্রান্তে কংগ্রেসের নেতৃত্বরা দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বিরোধীদের এক ছাতার তলায় আনতে মমতা বৈঠক করেছেন শরদ পাওয়ার, আদিত্য ঠাকরে, সঞ্জয় রাউতদের সঙ্গে। কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধীদের দূরত্ব যে তৃণমূলের সৌজন্যে বেড়েই চলেছে সম্প্রতি তা স্পষ্ট হয়েছে শীতকালীন অধিবেশনে। সেখানে তৃণমূলের দেখানো পথে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠক এড়িয়েছেন সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, শিবসেনা, আম আদমি পার্টির মতো দলগুলি৷ বলার অপেক্ষা রাখে না এহেন পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে চলেছে হাত শিবির।