Shantanu Moitra: ৩০০০ কিমি সাইকেল চালিয়ে প্রয়াত বাবা, কোভিডে মৃতদের শ্রদ্ধার্ঘ্য শিল্পী শান্তনু মৈত্রের

0
1

দু’‌মাস আগে গঙ্গার উৎসস্থল গোমুখ থেকে সাইকেলে যাত্রা শুরু করেছিলেন প্রখ্যাত সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক শান্তনু মৈত্র (Shantanu Moitra)। লক্ষ্য ছিল গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) পৌঁছনো। প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে তিনি সোমবার সন্ধেয় গঙ্গাসাগরে পৌঁছন। সেখানে যান তাঁর মা ও স্ত্রী।

আড়াই মাস আগে শান্তনু মৈত্রের (Shantanu Moitra) বাবা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। শেষ যাত্রায় শান্তনু তাঁর বাবার পাশে থাকতে পারেননি। শেষ বারের মতো তাঁর বাবকে দেখতেও পাননি৷ বাবাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানোর জন্য গঙ্গার গতিপথ ধরে সাইকেল চালাতে শুরু করেন। বাবার পারলৌকিক অনুষ্ঠানের সুযোগ না পাওয়ার জন্য বাবাকে স্মরণ করেই এই যাত্রা। সেই সঙ্গে কোভিডে (Covid) মৃতদেরও শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন শিল্পী।

শান্তনু বললেন, “কোভিড আমার মতো বহু মানুষকে একা করে দিয়েছে। বাবার হঠাৎ চলে যাওয়া এখনও মেনে নিতে পারিনি। যখন উনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, তখনও দেখা করতে পারিনি। মারা যাওয়ার পরেও দেখতে পাইনি ওঁকে।”

যাত্রাপথে ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় পিতৃতর্পণ সেরেছেন শান্তনু। এই যাত্রা নিয়ে একটি মিউজিক অ্যালবামও প্রকাশ করার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানিয়েছেন শান্তনু মৈত্র।

আরও পড়ুন-Roopa Ganguly: টাকা নিয়ে বিজেপিতে সিট বিক্রির অভিযোগ রূপার, বেরিয়ে গেলেন মিটিং ছেড়ে

মঙ্গলবার সকালে গঙ্গাসাগরের শ্রীধাম স্কুল (Sreedham School) প্রাঙ্গণে স্থাপিত হয়েছে শান্তনুর প্রয়াত পিতা-‌সহ করোনায় মৃত এক হাজার মানুষের ছবিকে ধারণ করে থাকা একটি স্মৃতিসৌধ। সৌধের নাম দেওয়া হয়েছে ‘‌অনন্ত যাত্রা’।‌ এই সৌধের ওপর থাকবে তুলসি গাছের চারা। স্কুলের পড়ুয়াদের পরিচর্যায় আগামী দিনে বেড়ে উঠবে তুলসি গাছগুলি।

গঙ্গাসাগরে কপিলমুনি মন্দিরের (Gangasagar Kapilmuni Temple) পাশাপাশি তীর্থযাত্রীদের কাছে এটাও কোভিডের স্মরণিকা হিসেবে দর্শনীয় স্থান হয়ে থাকবে বলে আশা শিল্পী শান্তনু মৈত্রর। প্রত্যেক দিন ৮০-১০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়েছেন বলে জানালেন সুরকার।