পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনে মঙ্গলবার মুম্বই (Mumbai) সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (Tmc) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek Bandyopadhyay)। সেখানে পৌঁছে ভারতের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhab Thakre) সঙ্গে দেখা করার কথা মমতার। দেখা করবেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এনসিপি (Ncp) প্রধান শরদ পাওয়ারের (Saradh Power) সঙ্গেও। সামনের বছর রাজ্যে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। তার আগে রাজ্যে বিনিয়োগ টানাতে ১ ডিসেম্বর শিল্পপতিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আসার আমন্ত্রণও জানাবেন।
আরও পড়ুন: BJP: প্রার্থী করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২৩ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে
২০২৪-এ বিজেপিকে হটাতে আঞ্চলিক দলগুলিকে একজোট করার চেষ্টা চলছে। সেক্ষেত্রে মোদি বিরোধী মুখ হিসেবে উঠে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। যদিও তিনি নিজে বারবার বলছেন, কে প্রধানমন্ত্রী হবে সেটা বড় কথা নয়। আসল লক্ষ্য হল ২০২৪ সালে কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করা।
দায়িত্ব নেওয়ার পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, শুধু বাংলায় তার বাইরে সংগঠন মজবুত করা এবং বিজেপিশাসিত রাজ্য থেকে গেরুয়া শিবিরকে ক্ষমতাচ্যুত করাই লক্ষ্য। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা, মেঘালয় দু’জায়গাতেই প্রধান বিরোধীদলের জায়গা পেয়েছে তৃণমূল। ত্রিপুরা নির্বাচনে অভিষেকের নেতৃত্বে ইয়ং ব্রিগেডের ভূমিকাকে কুর্নিশ জানিয়েছে তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটি। এই পরিস্থিতিতে তাঁর মুম্বই সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সম্প্রতি শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’য় তৃণমূল নেত্রীকে ‘বাঘিনী’ বলে সম্বোধন করা হয়। বিজেপির সঙ্গেও শিবসেনার সম্পর্ক একেবারে তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে আরব সাগরের তীরে বাণিজ্য নগরীতে তৃণমূল সুপ্রিমোর পা রাখা এবং শরদ পাওয়ার-সহ নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।