খড়গপুর থেকে গ্রেফতার কুখ্যাত গ্যাংস্টার শেখ বিনোদ

0
3

কলকাতা শহরে কুখ্যাত তোলাবাজ শেখ বিনোদকে শুক্রবার খড়গপুর থেকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ।সিআইটি রোডের একটি ব্যাঙ্কে ৪৫ লক্ষ টাকা প্রতারণার মামলায় এবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অতীতে মাদক মামলা, তোলাবাজির ঘটনায় নাম জড়িয়েছে গ্যাংস্টার বিনোদের। ওই ঘটনায় এর আগেও কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁদের জেরা করেই কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা বিনোদের নাগাল পেয়েছেন বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার কলকাতা পুলিশের এই সাফল্যের কথা টুইটারে জানিয়েছেন যুগ্ম কমিশনার। টুইটে লেখা হয়েছে, ‘ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় কুখ্যাত দুষ্কৃতী শেখ বিনোদ-সহ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।’
১৯৯০-এর মাঝামাঝি উত্থান এই কুখ্যাত অপরাধীর। আগে থাকত সোনারপুরের বাগেরখোলে। বাবার কাজের সূত্রে টালিগঞ্জে, আনোয়ার শাহ রোডে আসা। সেখানেই মুসলিম বস্তিতে বেড়ে ওঠা।

আরও পড়ুন- Royal Bengal Tiger: ফের সুন্দরবনে দেখা মিলল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের

অপরাধের হাতেখড়ি তৎকালীন যাদবপুর এলাকার আনোয়ার শাহ রোডে। বস্তিতে থাকাকালীন শাহাজাদার কাছে হাতেখড়ি হয়েছিল শেখ বিনোদের।
একের পর এক অপরাধ করেছে সে শাহাজাদার সঙ্গে হাত মিলিয়ে। একটা সময় সেই শাহাজাদাই হয়ে ওঠে তার প্রতিদ্বন্দ্বী। শাহাজাদার থেকে আলাদা হয়ে নিজেই তৈরি করে দল। মূলত পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এলাকা যাদবপুর, সোনারপুর থানা এলাকাতেই অপরাধের শুরু শেখ বিনোদের।
তোলাবাজি, মাদক পাচার-সহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত বিনোদকে দীর্ঘদিন ধরেই খুঁজছিল পুলিশ। গত বছর অগস্টেও তাঁকে একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। সে বার ভুয়ো কলসেন্টার খুলে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ ছিল বিনোদের বিরুদ্ধে।
অন্যান্য জায়গাতে লাগাতার অপরাধ চালিয়ে গেলেও চারু মার্কেট থানা এলাকায় অপরাধ করত না শেখ বিনোদ। পরবর্তীকালে বিনোদ নিজেকে ও দলকে শক্তিশালী করে লেক, টালিগঞ্জ থানা এলাকা থেকেও তোলাবাজি শুরু করে দেয়। ১৯৯৭ সালে তোলাবাজিতে অতিষ্ট হওয়ায় বিনোদের গ্যাংকে ঘিরে ফেলে এলাকার লোকজন। বিনোদের দলের ছ’জনকে গণপিটুনি দিয়ে মেরেও ফেলা হয়। সেই সময় পালিয়ে গিয়েছিল বিনোদ।
বহু মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে যায় বিনোদ। ২০১৭ সালে টালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে গড়িয়া পর্যন্ত দু’দিকেই সাম্রাজ্য বিস্তার করতে শুরু করে। সেই সময় সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউতে এক রেস্তোরাঁ চালু হয়। হামলা চালায় বিনোদ বাহিনী। মোটা অঙ্কের টাকা চেয়ে হুমকি দেয় রেস্তোরাঁর মালিককে। টানা চার বছর লুকিয়ে থাকার পর যেখানে ডেরা বেঁধেছিল সেখান থেকে পালিয়ে যায় একেবারে। চার বছরে বিনোদের নামে অভিযোগও কমে এসেছিল অনেকটাই। তার পর অন্য ভাবে অপরাধের শুরু হয় শেখ বিনোদের।শেষপর্যন্ত পুলিশের জালে ফের ধরা পড়ল সে।