লাগাতার সন্ত্রাস, প্রার্থীকে মার, ছাপ্পা ভোট, প্রশাসন সব দেখেও নিরব। সকাল থেকে ত্রিপুরার(Tripura) পুরসভা নির্বাচনের(MunicipalityElection) এই ছবি ঘুরে বেড়িয়েছে সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াতে। গণতন্ত্রের নামে এহেন প্রহসন দেখে শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। যদিও বিজেপির দাবি “নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সব বিরোধীদের নাটক”। এই প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয় ত্রিপুরা বিজেপিকে কার্যত ধুয়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। পাশাপাশি এটাও জানালেন, “ত্রিপুরাতে গণতন্ত্রের যে অভিধান আপনারা উপহার দিলেন সেটা মনে রাখবেন।”

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে ত্রিপুরা প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, “মাথা থেকে রক্ত ঝরছে, এটা নাটক? প্রার্থীর ছেলে, মেয়েকে মারছে, কাউকে ভোট দিতে দিচ্ছে না, প্রার্থী ও এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে, থানার সামনে প্রতিবাদ করলে পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ওখানে যা হচ্ছে সেটাকে গণতন্ত্র বলে চালানোর চেষ্টা হলেও সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে মানুষ সবটা দেখতে পাচ্ছেন। বুথের ভেতর ভুয়ো ভোটার ঘুরে বেড়াচ্ছে কাউকে ভোট দিতে দিচ্ছে না। একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে দিচ্ছে। এটা যদি গণতন্ত্র হয় তাহলে বিজেপি গণতন্ত্রের যে অভিধান লিখলেন সেটা মনে রাখবেন। গণতন্ত্রের এই অভিধান কোনওদিন খোলা হলে সেখানে সামনে আপনাদের নাম লেখা থাকবে।”
পাশাপাশি সরাসরি বিপ্লব দেবের বহিরাগত মন্তব্যকে একহাত নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “বিপ্লব দেব বাংলায় নির্বাচনের সময় অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি আপনি ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেননি? আপনি আসবেন অথচ তৃণমূল যেতে পারবে না? আসলে ওরা ভয় পাচ্ছে মানুষের কাছে তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতা যত বাড়ছে বিজেপি তত ভয় পাচ্ছে।” একইসঙ্গে তিনি আরো বলেন, সিপিএমের যে হার্মাদ একটা সময় বুথ দখল করে সন্ত্রাস করত তারাই এখন সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে ঢুকেছে। একই ছকে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও এসব করে কিছু হবে না। ২৩শে ত্রিপুরাতে বিজেপিকে উৎখাত করে সরকার গড়বে তৃণমূল।












































































































































