ফের রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া।গড়ফার পি রায় লেনের বাসিন্দা বছর সত্তরের সংগ্রাম দে’র কঙ্কাল উদ্ধারের (Garfa Mysterious Death) পর পুলিশ রীতিমতো দ্বন্দ্বে। এই মৃত্যু কি স্বাভাবিক? যদি স্বাভাবিক হয়, তা হলে মৃতদেহ (Decomposed Body) সৎকার না করে পরিবার তিন মাস ধরে এ ভাবে আগলে রাখল কেন?
সোমবার সন্ধেয় পাওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিশের একটা সন্দেহ দূর করেছে৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, সংগ্রাম দে’র মৃত্যু স্বাভাবিক৷ স্বভাবতই পুলিসের সন্দেহ, পরিবারের বাকিরা মানসিকভাবে অসুস্থ৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, ছেলে কৌশিক দে যদি মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে থাকেন , তা হলে সংগ্রাম দে’র স্ত্রী অরুণা দে কেন স্বামীর মৃত্যুর কথা কাউকে জানাননি? ছেলেই কি মা’কে চুপ থাকতে বাধ্য করেছিলেন? খোঁজখবর নিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে সংগ্রাম দে’র স্ত্রী শারীরিক ভাবে অসুস্থ৷ হাঁটাচলা করতে পারেন না৷ দু’হাতে ভর দিয়ে কোনও রকমে কাজ করেন৷
ক্লাবের ছেলেদের সন্দেহ না হলে হয়তো আরও কিছু দিন আড়ালেই থেকে যেত সংগ্রাম দে’র দেহ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সংগ্রাম দে প্রতি বছর দুর্গা পুজোয় বিপুল অঙ্কের টাকা চাঁদা দিতেন৷ কিন্তু, এ বছর পুজোর চাঁদা দেননি৷ ক্লাবের ছেলেরা চাঁদা চাইতে গেলে মৃতর ছেলে কৌশিক দে জানান, ‘বাবা সোশ্যালি ডেড’৷ কৌশিকের এই কথা শুনেই স্থানীয়দের সন্দেহ হয়৷ তার মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে তাঁরা সংগ্রাম দে’কে বাড়ির বাইরেও দেখতে পাননি৷ এরপরই দুর্গন্ধ এলাকায় টিকতে পারছিলেন না কেউ। দুর্গন্ধের কারণ খুঁজতে গিয়েই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে৷ শেষ পর্যন্ত পুলিশ ওই বাড়ি গিয়ে কঙ্কাল উদ্ধার করে৷
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.