সম্প্রতি বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এবার সেই প্রস্তাবের বিস্তারিত চেয়ে পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। শুক্রবার একটি টুইট করে রাজ্য বিধানসভায় পাস হওয়া প্রস্তাবের কার্যবিবরণী তাঁর কাছে পাঠানো হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। একই সঙ্গে সিবিআই ও ইডির বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ সংক্রান্তও সমস্ত তথ্য চেয়েছেন রাজ্যপাল।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1461625386916270083?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1461625386916270083%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Ftv9bangla.com%2Fkolkata%2Fgovernor-jagdeep-dhankhar-seek-detail-on-resolution-passed-in-assembly-against-extended-bsf-jurisdiction-458521.html
এই প্রসঙ্গে বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সীমান্ত রক্ষা সুনিশ্চিত করা বিএসএফের কাজ। কিন্ত তারা ক্রমশ নন-বর্ডার এলাকায় ঢুকে যাচ্ছে। এলাকা বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা খর্ব করা হচ্ছে।” রাজ্যপালের টুইট প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘উনি সারাক্ষণ বিধানসভার কার্যপ্রণালিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এটা তারই আরেকটা উদাহরণ’। অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যপাল রাজ্যের সম্মানিত ব্যক্তি। তাঁর চিঠি হাতে পেলে বিধানসভার সচিবালয় জবাব পাঠিয়ে দেবে। আর, রিপোর্ট না পাঠানো নিয়ে রাজ্যপালের অভিযোগ ঠিক নয়।”
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী বাংলা-সহ তিন রাজ্যে কাজের সীমা বেড়েছে বিএসএফের। ১৫ কিলোমিটার নয়, এবার থেকে রাজ্যের ৫০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে গিয়ে তল্লাশি চালাতে পারবে। এমনকী রাজ্য পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ, গ্রেফতারিও করতে পারেন বিএসএফ জওয়ানরা। বিএসএফ-এর এই এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে গত ১৬ নভেম্বর সরকারি প্রস্তাব আনা হয়েছিল বিধানসভায়। ভোটাভুটিতে তা পাশও হয়ে যায়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১১২টি ও বিপক্ষে ভোট পড়ে ৬৩টি। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ালে সংবিধানের বিরোধিতা করা হবে বলে দাবি করে তৃণমূল সরকার।
আরও পড়ুন- Jago Bangla: জাগো বাংলার স্ট্যান্ড উদ্বোধন থেকে “জাগো ভারত” ডাক তৃণমূলের