TMC Bijoya Sammilani: পুরভোটে ৬০-এ ৬০ এর শপথ উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে

0
3

বাগবাজারে উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী। কিন্তু নিছক বিজয়া সম্মিলনীতেই আটকে রইল না। এই সম্মেলন থেকে কার্যত শপথ নেওয়া হল সামনের কলকাতা পুরভােটে উত্তর কলকাতায় ৬০-এ ৬০ করতে হবে।

জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, কংগ্রেস গত কয়েক বছর ধরেই জাতীয় রাজনীতিতে নিজের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখতে পারছে না। বিজেপির বিরুদ্ধে পারফর্ম করতে পারছে না। এটা প্রমাণিত। তৃণমূল কংগ্রেস টানা বিজেপিকে পরাস্ত করে চলেছে। সর্বভারতীয় স্তরে আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব দেবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে আত্মতুষ্টিতে ভুললে চলবে না। আন্তরিকভাবে সামনে পুরসভা নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

দলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ২০২২-এ গোয়ায় এবং ২০২৩-এ ত্রিপুরায় সরকার গড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। আর ২০২৪-এ ভারতবর্ষে এমন একটি সরকার হবে যার প্রাণভােমরা হবে তৃণমূল কংগ্রেস এবং চালিকা শক্তি থাকবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দলকে আরও শাক্তশালী করছেন। তাঁর ভিশন পরিষ্কার। সামনেই পুর নির্বাচন। উত্তর কলকাতায় ৬০টি ওয়ার্ড। এরমধ্যে ৫২টাই এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ৬০-এ ৬০ করতে হবে। এই শপথ নিতে হবে দলের কর্মীদের। ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনী পর্বে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। নিবিড়ভাবে জনসংযোগ করতে হবে। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে একটি ওয়ার্ডে একাধিক ব্যক্তি প্রার্থী হতে চাইতেই পারেন। কিন্তু দল যাকে প্রার্থী করবে সবকিছু ভুলে দলের সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত বলে ধরে নিয়ে তাঁর হয়েই সেই মুহূর্ত থেকেই প্রচারে নেমে পড়তে হবে।

জেলা সভাপতি তাপস রায়ও দলের কর্মীদের উৎসাহিত করেন। এই বিজয় সম্মিলনীতে উপস্থিত ছিলেন উত্তর কলকাতার সব সাংসদ, বিধায়ক, কো-অর্ডিনেটর এবং সব শাখা সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। জাতীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় বিজয় সম্মিলনী।

আরও পড়ুন- TMC Bijaya Someloni: খাসতালুক দক্ষিণের বিজয়া সম্মেলনী থেকেই পুরভোটের প্রচার শুরু তৃণমূলের