ওপারে চিনা হেলিপ্যাড, চারধাম সংযোগকারী রাস্তা চওড়া করার দাবিতে সুপ্রিমকোর্টে কেন্দ্র

0
1

সীমান্তের ওপারে হেলিপ্যাড(Halipad) গড়েছে চিন। ফলস্বরূপ যেকোনো রকম যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় চারধাম সংযোগকারী সড়ক চওড়া করা দরকার। অথচ কেন্দ্রের(central) এই সিদ্ধান্ত মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে উত্তরাখণ্ডের জন্য। রাস্তা চওড়া করার অর্থ গাছ কাটা। যার জেরে ফের বন্যায় ভাসতে পারে উত্তরাখণ্ড(Uttarakhand), নামতে পারে ধস। ফলস্বরূপ কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের শুরু থেকেই বিরোধিতায় পরিবেশবিদরা। এহেন অবস্থায় চিনের(China) চোখ-রাঙানিকে মাথায় রেখে রাস্তা চওড়া করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলো কেন্দ্রীয় সরকার।

গাঢ়োয়াল হিমালয়ে গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ, বদ্রিনাথ— এই চার ধামের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী সড়কটির দৈর্ঘ্য ৮৯৯ কিলোমিটার। সীমান্তগামী এই সড়কই দেরাদুনের কাছে ১০ মিটার পর্যন্ত চওড়া করতে চায় মোদি সরকার। যদিও শীর্ষ আদালতের তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই রাস্তা ৫ মিটারের বেশি চড়া করা যাবে না। মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতেও। এবার পাল্টা শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, সীমান্তের ওপারে হেলিপ্যাড নির্মাণ করছে চিন। তাই শিগগিরই এই রাস্তা দিয়ে রকেট লঞ্চার, ট্যাঙ্ক নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হবে। দেশের নিরাপত্তার খাতিরে রাস্তা চওড়া করা দরকার।

আরও পড়ুন:Nykaa-র বাজারমূল্য পেরল ১ লক্ষ কোটি টাকা, বিশ্বের সেরা ধনীদের তালিকায় ফাল্গুনী নায়ার

যদিও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধী পক্ষের আইনজীবীকলিন গনসালভেজের বলেন, সেনার তরফে রাস্তা চওড়া হওয়ার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক ক্ষমতার শীর্ষে বসে থাকা কয়েক জনের জন্য। পাল্টা কিন্তু আইনজীবী জানান দেশ আবার ১৯৬২ সালের অবস্থায় পড়ুক আমরা সেটা চাই না। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছে, দেশের নিরাপত্তা আর পরিবেশ, দুইয়ের মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখা খুব দরকার। কেন্দ্র যদি বলত পর্যটনের জন্য রাস্তা সম্প্রসারণ করছে, তাহলে বাধা দেওয়া যেত। কিন্তু দেশের নিরাপত্তা যখন বিষয়, তখন তা গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।