লক্ষ্য পুরভোট: ২২ নভেম্বর আগরতলায় প্রচারে যাচ্ছেন অভিষেক

0
1

এই মাসের ২৫ তারিখ ত্রিপুরায় ১৩টি পুরসভা এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েতের ভোট। এই প্রথম সেখানকার পুরভোটে অংশ নিচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূল সূত্রের খবর, দলীয় কর্মীদের হয়ে প্রচারে ২২ নভেম্বর ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী, তারিখ পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে।

দায়িত্ব নেওয়ার পরেই অভিষেক বলেছিলেন বাংলার বাইরে বিভিন্ন রাজ্যে নিজেদের সংগঠন মজবুত করবে তৃণমূল (Tmc)। একটা-দুটো আসন পাওয়া নয়, সেখানে ক্ষমতা দখলই হবে লক্ষ্য। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার (Tripura) পাশাপাশি গোয়া, উত্তর প্রদেশ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে জোড়া ফুলের ভিত মজবুত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরায় ভোটে নামছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন-টানা দু’বছর বন্ধ থাকার পর ফের চালু হচ্ছে এমপি-ল্যাড

ইতিমধ্যেই একাধিক ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থীদের প্রচারে বাধা-সহ বিজেপি নানাভাবে হয়রান করছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এরই মধ্যে ভোট প্রচারে ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। গত ৩১ অক্টোবর আগরতলায় সভা করেন অভিষেক। সেই সভায় বিপ্লব দেবের সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, “আজ খুঁটিপুজো হল, ২০২৩-এ হবে বিসর্জন। বিজেপিকে (Bjp) আনা মানে খাল কেটে কুমির আনা।”

 

শুরু থেকেই ত্রিপুরায় সংগঠন মজবুত করতে সচেষ্ট তৃণমূল। বাংলার একাধিক মন্ত্রী থেকে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা, শাখা সংগঠনের নেতৃত্বরা গত কয়েক মাস ধরেই ত্রিপুরায় সংগঠন মজবুত করার কাজ করছেন। বারবার বিজেপির হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে দলের মহিলা সাংসদ থেকে ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বকে। বিজেপি-পুলিশের হেনস্থার শিকারও হতে হচ্ছে তাঁদের। কিন্তু তাও পিছুপা হতে নারাজ জোড়াফুল বাহিনী। এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব দিয়ে বাংলার ৫ বিধায়ক সহ গুরুত্বপূর্ণ ৯ নেতাকে ত্রিপুরায় পাঠিয়েছে তৃণমূল। এবার যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর গতবারের সফরে ত্রিপুরার তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। অভিষেকের সভা পন্ড করার জন্য রাতারাতি কোভিডের নয়া বিধি চালু করেছিল বিপ্লব দেব সরকার। কিন্তু তাও দমিয়ে রাখা যায়নি তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের। ভোটের মুখে ফের তৃণমূলের সেনাপতির বার্তার অপেক্ষায় ত্রিপুরার মানুষ।