মালদহ আপ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ১০ নভেম্বর থেকে আরও একটি অতিরিক্ত স্টেশনে দাঁড়াবে । পূর্ব রেলের মালদহ ডিভিশন সূত্রে এ খবর জানানো হয়েছে। একই ভাবে মালদহ – হাওড়া ইন্টারসিটি ডাউন এক্সপ্রেসও ওই স্টেশনে দাঁড়াবে বলে পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি মালদহ ডিভিশনের উপর দিয়ে যাতায়াতকারী যে সমস্ত ট্রেনগুলিকে করোনার সময় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সেই কুড়িটি ট্রেনকে আবার চালানোর জন্য রেল বোর্ড কে মালদহ ডিভিশনের পক্ষ থেকে আবেদন পত্র পাঠানো হয়েছে।
সোমবার মালদহ রেলওয়ে ডিভিশনের সিনিয়র ডিসিএম পবন কুমার জানান আপ ও ডাউন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস বুধবার থেকে মুর্শিদাবাদের মণিগ্রাম স্টেশনে দু’মিনিটের জন্য দাঁড়াবে। বেশ কিছুদিন থেকেই ওই স্টেশনটিতে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস দাঁড় করানোর দাবি ছিল। পরীক্ষামূলকভাবে আপাতত ওই স্টেশনে হাওড়া – মালদহ ও মালদহ – হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।
পাশাপাশি করোনার সময় থেকে মালদা ডিভিশনের উপর দিয়ে প্রায় কুড়িটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বন্ধ হয়েছিল। তাতে রেল যাত্রীরা সমস্যায় পড়েছিলেন। তাই রেলযাত্রীদের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই রেল বোর্ডকে পুনরায় মালদা ডিভিশনের উপর দিয়ে কুড়িটি ট্রেন যাতে চালানো যায় সেই বিষয়ে আবেদন পত্র পাঠানো হয়েছে।
তাদের দাবি অনুযায়ী চলতি মাসের ১০ তারিখ থেকে হাওড়া -মালদহ ইন্টারসিটি আপ ডাউন দুটোই মনিগ্রাম স্টেশনে দাঁড়াবে। আপাতত আগামী ছয় মাস পর্যন্ত মনিগ্রাম স্টেশনে হাওড়া মালদা ইন্টারসিটি স্টপেজ দাওয়া হল। দেখা হবে মণিগ্রাম স্টেশনের থেকে যাত্রী কেমন চলাফেরা করে । যদি সেখানে যাত্রী সংখ্যা বাড়তে থাকে প্রতিনিয়ত । তাহলে হাওড়া- মালদহ ইন্টারসিটি সেখানে প্রতিনিয়তই দাঁড়াবে ।
আর যদি যাত্রী সংখ্যা তেমন না হয় তাহলে ছ’ মাস পরে মনিগ্রাম স্টেশনের স্টপেজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। মালদহ রেলওয়ে ডিভিশন সূত্রে জানা যায় মালদা ডিভিশনের অন্তর্গত সাহেবগঞ্জ, আজিমগঞ্জ ,ভাগলপুর , উপর দিয়ে প্রতিদিনই আজিমগঞ্জ সাহেবগঞ্জ প্যাসেঞ্জার , সাহেবগঞ্জ আজিমগঞ্জ প্যাসেঞ্জার , আজিমগঞ্জ ভাগলপুর প্যাসেঞ্জার, ভাগলপুর আজিমগঞ্জ প্যাসেঞ্জার , মিলিয়ে কুড়িটি ট্রেন প্রতিনিয়ত চলাচল করতো ।করোনার সময়কালে থেকে সেই ট্রেন গুলি বন্ধ হয়েছিল ।
এইবারে যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে সে ট্রেন গুলি আবার চালু করার বিষয়ে মালদা রেলওয়ে ডিভিশন এর পক্ষ থেকে রেল বোর্ডকে আবেদন পত্র পাঠানো হয়েছে। আবেদনপত্রটি মঞ্জুর হলেই ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে যাবে।