বাইকের ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি আস্ত গাড়ি! সুজয়ের ‘স্নেক কার’ দেখতে ভিড় উপচে পড়ছে

0
2

 

চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়

ইচ্ছা থাকলে সবকিছুই সম্ভব তা ফের একবার প্রমাণ করে দিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের ২৮ বছরের যুবক সুজয় মণ্ডল। গতানুগতিক পুঁথিগত বিদ্যায় ছোট থেকেই অনীহা। তৃতীয় শ্রেণীর পর পড়াশোনার পাট চুকিয়েছেন। কিন্তু সৃষ্টির নেশা সুজয়কে করে তুলেছে থার্মোকল শিল্পী থেকে রীতিমতো ইঞ্জিনিয়র ।
জয়নগর- মজিলপুর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মতিলাল পাড়ার বাসিন্দা পেশায় থার্মোকল শিল্পী সুজয় । মাত্র দেড় মাসের চেষ্টায় তৈরি করে ফেলেছেন একটি স্নেক কার।
টকটকে লাল রঙের নতুন ধরণের গাড়ি দেখতে ভিড় উপচে পড়ছে জয়নগরে । গাড়ি ছুটলেই অবাক হয়ে দেখছেন পথচলতি মানুষ।
নিশ্চয়ই ভাবছেন কীভাবে তৈরি হল এই গাড়ি? সুজয় নিজের মুখেই শুনুন সেই বৃত্তান্ত। তিনি জানান, নিজের ১৫০ সিসি ডিসকভার মোটর বাইকই তার হাতে পড়েএখন এক আস্ত স্নেক কার। দুই আসন বিশিষ্ট এই গাড়ি তৈরি করে রীতিমতো চমকে দিয়েছেন এলাকার মানুষকে। দু’বছর আগে রিমোট সিস্টেমে সাইকেল তৈরি করেছেন। ছোট রিমোট জাহাজ তৈরি করেছেন তিনি। এবার তৈরি করলেন থার্মোকল দিয়ে গাড়ি।

আরও পড়ুন- ধাক্কা সামলে ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার, ৪৭৭ পয়েন্ট বৃদ্ধি সেনসেক্সের
সুজয়ের জানিয়েছেন, “বাড়িতে একটা বাইক ছিল। অনেকের বাইকে অ্যাক্সিডেন্ট হয়। তাই ভাবলাম ব্যালান্স সহজ করার জন্য যদি কম খরচে সেই মোটর বাইককে একটা কার (Car)  করে তোলা যায়। সেই মতো থার্মোকল দিয়ে এই গাড়িটা বানালাম। মোটামুটি এক-দেড় মাস লেগেছে।” তিনি জানান, এর আগে বিভিন্ন রকম সাইকেল বানিয়েছেন। এখন এই গাড়িতে চার চাকার মজা পাওয়া যাবে। অথচ, এটা একটা বাইক।

এর আকর্ষণ হল, ‘সার্ভিস’। ১ লিটার জ্বালানি খরচ করলে ৪০ কিলোমিটার দৌড়বে এই গাড়ি। ফোর হুইলারে যেটা সম্ভবই নয়, জানান সুজয়। স্টিয়ারিং বানানো, চাকা পরানো পুরোটাই নিজে স্কেচ করে তৈরি করেছেন বলে জানান সুজয়।
সোমবার তাঁর সৃষ্টি ওই গাড়িতে সুজয়ের সফর সঙ্গী হয়েছিলেন জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুজিত সরখেল। গাড়িতে চড়ে দারুণ খুশি প্রাক্তন পুরপ্রধান জানান, সুজয়ের এই প্রতিভার বিকাশ আরও ঘটুক। তিনি যেন বড় কোনও কোম্পানির কাছে এইসব কাজের স্বীকৃতি পান। আপাতত সুজয় বুঁদ তার নতুন প্রোজেক্ট নিয়ে। কনফিডেন্সের সঙ্গে জানালেন, রোবট রিকশা বানিয়ে তাক লাগিয়ে দেবেনই।