পুরভোটের (Tripura Municipal Election) আগেই সরগরম ত্রিপুরা (Tripura)। ফের তৃণমূলের (TMC) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বিরুদ্ধে ত্রিপুরায় আরও তিনটি মামলা করল পুলিশ। আগরতলা (Agartala) পশ্চিম থানার পর এবার নতুন বাজার, অমরপুর, ওম্পি থানার নোটিস। কুণালকে অবিলম্বে ত্রিপুরায় তলব।

কালীপুজোর আগে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে একাধিক স্ট্রিট কর্নারে বক্তব্য রেখেছিলেন কুণাল ঘোষ। সেখানে তিনি প্রশ্ন তোলেন, রামরাজ্যে কেন সীতার পাতালপ্রবেশ? কেন রাজনীতিতে জয় শ্রীরাম শ্লোগান? রাজনীতি করতে গিয়ে ভগবান রামকে কেন রাস্তায় নামিয়ে আনছে বিজেপি? কুণালের ক্ষুরধার বক্তব্যে ঘুম ছুটে যায় বিপ্লব দেব প্রশাসনের।

এরপর মধ্যরাতে পুলিশ কুণাল ঘোষকে খুঁজে বেড়ায়। এবং আগরতলা তৃণমূলের ক্যাম্প অফিসে নোটিশ দিয়ে আসে।সেখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়। অভিষেকের মিটিং-এর আগের দিন আগরতলা পশ্চিম থানায় ডেকে পাঠানো হয়। যা নজিরবিহীন। গত শনিবার তিনি আগরতলা পশ্চিম থানায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই যান। এবং পুলিশের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেন।

এ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ তখন জানিয়ে ছিলেন, “আমি সভায় বলেছিলাম জনবিরোধী নীতি জনগণকে পর্যুদস্ত করা বিজেপি নজর ঘোরাতে ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগান দিয়ে হিন্দুত্বের রাজনীতি করছে। আমিও হিন্দু। আমি ঈশ্বরবিশ্বাসী। আমিও রামচন্দ্রকে নমস্কার করি। কিন্তু মা, বোনেদের বলব জয় শ্রীরাম বলে কেউ বিজেপির ভোট চাইতে এলে তাদের জিজ্ঞেস করবেন রামচন্দ্র রাজা হলেও মা সীতাকে অন্তঃসত্তা অবস্থায় কেন জঙ্গলে যেতে হয়েছিল? কেন পাতালপ্রবেশ করতে হয়েছিল? বিজেপি হিন্দুত্বের দোকান খুলে ভোট চায়। আমরা ধর্মের নামে রাজনীতির বিরুদ্ধে। আমরা সম্প্রীতি, সংহতি চাই। ধর্ম থাকুক নিজের কাছে। রোটি কাপড়া আউর মাকানের অধিকারের লড়াই থাকুক রাজনীতির ময়দানে।”

অন্যদিকে ত্রিপুরা পুলিশের দাবি, কুণাল ঘোষের বক্তব্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে। তাই মামলা করা হয়েছে।






































































































































