শাহরুখ-পুত্র আরিয়ানকে ( Shahrukh Khan & Aryan Khan) গ্রেফতার নয়, অপহরণের ছক কষা হয়েছিল । জানা গিয়েছে মুম্বইয়ে ক্রুজ প্রমোদতরী থেকে আরিয়ান খানের গ্রেফতারের গোটা ঘটনাটিই পূর্বপরিকল্পিত। বিপুল পরিমাণ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আরিয়ানকে অপহরণ করার চেষ্টা হয়েছিল। মুক্তিপণের দাবি ২৫ কোটি থেকে শুরু হয়েছিল। রফা হয়েছিল ১৮ কোটিতে। রবিবার এই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মহারাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা নবাব মালিক। একইসঙ্গে মন্ত্রীর অভিযোগ, মাদককাণ্ডের মূল চক্রী হলেন বিজেপি নেতা মোহিত কাম্বোজ। উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় এই বিজেপি নেতা আরিয়ান খান মামলার মূল চক্রী হিসেবে সুনীল পাটিলের নাম উল্লেখ করেছিলেন। সুনীল এনসিপি নেতা নবাব ও তাঁর দলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে মোহিত দাবি করেন।
দু’দিন আগেই নবাব বলেছিলেন, আরিয়ান মামলায় তিনি রবিবার আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করবেন। প্রতিশ্রুতি মত রবিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন নবাব। সেখানেই তিনি বলেন, আরিয়ানকে গ্রেফতার করার পর শাহরুখ খানকে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয়েছিল। শাহরুখ যাতে মুখ না খোলেন সেজন্য এখনও তাঁকে হুমকি দেওয়া চলছে। নবাব এদিন শাহরুখের কাছে আর্জি জানান, তিনি যেন অযথা না ভয় পান। বরং তার উচিত মুখ খোলা। আরিয়ান সম্পর্কিত প্রকৃত বিষয়টি সকলকে জানিয়ে দেওয়া। একই সঙ্গে শাহরুখকে উদ্দেশ্য করে নবাব বলেন, নিজের ছেলেকে ছাড়িয়ে আনতে যদি মুক্তিপণ দিতে হয় তবে সেটা কোনও অপরাধ নয়।
নবাব আরও অভিযোগ করেছেন, এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের সঙ্গে বিজেপি নেতা মোহিতের যোগাযোগ রয়েছে। আরিয়ানাকে গ্রেফতারের পর সমীরের সঙ্গে গোপনে দেখা করেছেন মোহিত। সম্প্রতি মাদক মামলায় জামিন পেয়েছেন রিষভ সচদেবা নামে এক ব্যক্তি। নবাব অভিযোগ করেন, রিষভ হলেন মোহিতের জামাইবাবু। মাদক কাণ্ডের সঙ্গে রিষভ ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
একই সঙ্গে মোহিতের করা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে নবাব বলেন, সুনীলের সঙ্গে তিনি কখনও দেখা করেননি। মোহিত যে সমস্ত ছবি প্রকাশ করেছেন তাতে সুনীলের সঙ্গে গুজরাতের কয়েকজন মন্ত্রীকেও দেখা যাচ্ছে। সুনীল প্রসঙ্গে নবাব আরও বলেন, আরিয়ান খান মামলা নিয়ে তাঁর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকের পরই সুনীল তাঁকে ফোন করেছিলেন। সুনীল জানিয়েছিলেন যে, মাদক মামলায় তাঁর কাছে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য আছে। তিনও সে সব নবাবকে জানাতে চান। তবে ওই সমস্ত তথ্য পুলিশকে দেওয়ার জন্য নবাব সুনীলকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে, ওই সমস্ত তথ্য প্রমাণ জমা দেওয়ার জন্য গুজরাতে তাকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলেও সুনীল তাঁকে জানিয়েছেন।
প্রমোদতরীর পার্টি সম্পর্কেও এদিন মুখ খুলেছেন নবাব। মন্ত্রী বলেন, প্রমোদতরীর ওই পার্টির আয়োজন করেছিল ফ্যাশন টিভি ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাশিফ খান। নবাবের প্রশ্ন, এই মামলায় কেন কাশিফকে গ্রেফতার করা হয়নি? নবাবের স্পষ্ট কথা, আসলে গোটা ঘটনাটাই বিজেপি-এনসিবির ষড়যন্ত্র। মহারাষ্ট্র সরকারের গায়ে কালি সেটাতেই এই চক্রান্ত করা হয়েছে। তবে আগামী দিনে প্রকৃত সত্য অবশ্যই সামনে আসবে।