দক্ষ রাজনীতিবিদ হলেও ভূতে ভয় পেতেন। বড় বড় দায়িত্ব সাহসের সঙ্গে সামলে এসেছেন। কিন্তু সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রচণ্ড ভূতের ভয় ছিল। ঘনিষ্ঠমহলে আবার নিজের ভূত দেখারও গল্প শুনিয়েছিলেন।

মহাকরণে একবার নাকি নিজের চোখে ভূত দেখেছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তখন তিনি সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের মন্ত্রিসভায় একেবারে তরুণ সদস্য। দেশে জরুরি অবস্থা চলছে। তখন প্রত্যেক সংবাদপত্রকে পাতা তৈরি করে তা ছাপতে দেওয়ার আগে সরকারি প্রতিনিধিকে তা দেখিয়ে তাতে সরকারি ছাপ্পা লাগানো ছিল একেবারে বাধ্যতামূলক। সেই ছাড়পত্র দিতেন খোদ মন্ত্রী ও অফিসারেরা।

প্রতিদিনের অফিসের কাজ সেরে বাড়ি ফিরতেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তারপর খাবার খেয়ে আবার মহাকরণে, নিজের তিনতলার অফিসে। ঘনিষ্ঠমহলে সুব্রতবাবুর থেকে শোনা, ভিআইপি লিফটে করে একদিন তিনি তিনতলায় উঠে ছিলেন। লিফট থেকে বেরিয়েই টানা অলিন্দ। সেখানে পুলিশ আধিকারকরা থাকেন। স্বাভাবিকভাবে কোনও মন্ত্রী যাতায়াত করলে তাঁকে স্যালুট করেন। সেই মতোই লিফট থেকে এক পুলিশকে দেখেন সুব্রতবাবু। তখনই চক্ষু চড়কগাছ তাঁর। দেখেন, মাটি থেকে ফুট খানেক ওপরে ভাসছেন ওই কনস্টেবল। কার্যত হাওয়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। তা দেখেই তড়িঘড়ি নিজের ঘরে ঢুকে যান সুব্রতবাবু। মন্ত্রী ডাক দেন সেন্ট্রাল গেটের পুলিশ অফিসারদের। তারপর জানতে পারেন, সেই দিন তিনতলায় কোনও আধিকারিকদের পোস্টিং দেওয়া হয়নি। তারপর থেকে আর রাতে মহাকরণে আসেননি তিনি। এটাই শেষ নয় নিজের আরও অনেক ভূতের কাহিনী ঘনিষ্ঠমহলে শুনিয়েছিলেন তিনি। আর সেই ভূতের গল্প শোনা হবে না, এটাই ভেবে আক্ষেপ করছেন সকলেই।
আরও পড়ুন- গান স্যালুটে চিরবিদায় সুব্রতকে, কেওড়াতলায় শেষ শ্রদ্ধা জানালেন অভিষেক































































































































