তিনি শুধুমাত্র রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা নেতা-মন্ত্রী ছিলেন না। তিনি ছিলেন দক্ষ ক্লাব সংগঠনও। তিনি ছিলেন এভারগ্রীন। চিরসবুজ। তাঁর হাত ধরেই গড়িয়াহাটের একডালিয়া এভারগ্রিন জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রিয় সুব্রতদা প্রয়াণে শোকে বিহ্বল পাড়া প্রতিবেশি থেকে শুরু করে তাঁর প্রিয় একডালিয়া ক্লাবের সদস্যরা।
ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের যে চেয়ারে বসে একদা সমস্ত কাজ করতেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় সেই চেয়ার আজ ফাঁকা। শুধু স্মৃতি। রয়েছে তাঁর একটা ছবি। ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ক্লাবের সদস্যরা। ক্লাবের দেওয়ালেও বিভিন্ন ছবি মনে করাচ্ছে তাঁর কথা। ক্লাবের কোনও আয়জনই সম্পূর্ণ হতনা তাদের প্রিয় সুব্রতদাকে ছাড়া। প্রিয় দাদার মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন ক্লাবের সদস্যরা।
দক্ষিণ কলকাতার বিখ্যাত একডালিয়া এভারগ্রিন (Ekdalia ক্লাবের প্রেসিডেন্ট সুব্রতবাবু। যাঁর হাত ধরেই এতগুলো বছর ধরে থিমের পুজোর ভিড়ে হারিয়ে যায়নি কলকাতার সাবেকী পুজো। তিনি বরাবরই বলতেন সনাতনী দুর্গোৎসব।
১৯৭১ সাল থেকে একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আমৃত্যু তিনি এই ক্লাবের প্রেসিডেন্ট। দুর্গাপুজোর যাবতীয় দায়দায়িত্ব সামলাতেন নিজেই। তিনি বলতেন, ”আমরা সনাতনী পুজো করি। আমাদের সাবেকী প্রতিমা। যাঁরা থিমের পুজো’ করেন, সেটা পুজো নয়। ওটা উৎসব। আমাদেরটা হল দুর্গাপুজো। এটাই পার্থক্য।
আরও পড়ুন- অ্যালবামে সাদা-কালোয় সুব্রতদা
































































































































