“টাকা-নারীতে মগ্ন-মস্তান”, দিলীপ-কৈলাসকে নিশানা করে ফের টুইট বোমা তথাগতর

0
1

এককথায় নজির বিহীন তুলোধনা। উপনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পর একের পর এক টুইট বাণে দলের নেতাদের বিদ্ধ করছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়।

চার আসনেই পরাজয় শুধু নয়, তিন কেন্দ্রে জামানত জব্দ! গত বিধানসভা ভোটে জেতা আসনও ধরে রাখতে পারল না বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে দলের নেতৃত্বকে ফের বিঁধলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। তাঁর নিশানায় দিলীপ ঘোষ ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা।

বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর থেকেই তাঁর নিশানায় “KDSA” অর্থাৎ কৈলাস-দিলীপ-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ মেনন। এই চারমূর্তিতে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছেন তথাগত। উপনির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের ভরাডুবির পর এই ধারা বজায় রেখে আক্রমণে আরও ঝাঁজ বাড়ালেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়।

ফের টুইটে বোমা ফাটালেন তথাগত। এবার তাঁর নিশানায় দিলীপ ঘোষ। এদিন টুইট করে তথাগত দিলীপের নাম না করে লেখেন, “সুর করে দিদি-দিদি ডাকায় যা ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে মমতাকে বারমুডা পরতে বলায়। কারণ এর মধ্যে অশ্লীল ইঙ্গিত আছে। ‘বারমুডা’ কথাটা বোধ হয় নতুন শেখা হয়েছিল। নিচু স্তরের মাস্তানির সুরে ‘পুঁতে দেব’, ‘শবদেহের লাইন লাগিয়ে দেব’, এই সব কথাতেও প্রভূত ক্ষতি হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের আগে ভাঙা পা নিয়ে যখন প্রচার করছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন মুখ্যমন্ত্রীকে শাড়ির পরিবর্তে বারমুডা পড়তে বলার মতো কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। যা বাংলার সংস্কৃতি বিরোধী। রাজ্যের নারীদের প্রতি অসম্মান। যা মহিলারা ভালোভাবে নেয়নি। অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষের “পুঁতে দেব”,

“শবদেহের লাইন লাগিয়ে দেব” ইত্যাদি শব্দগুলি ভোটের সময় উত্তেজনা তৈরি করেছিল। সেই বিষয়টিকেই তুলে ধরেছেন তথাগতবাবু। এবং তিনি দাবি করেন, দলের ভরাডুবির পিছনে অন্যতম কারণ দিলীপ ঘোষের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য।

আর একটি টুইটে আরও বিস্ফোরক তথাগত। তিনি লিখেছেন, “ইগোর চাইতেও অনেক, অনেক বড় টাকা ও নারী। উপনির্বাচনে সমূহ ভরাডুবির সঙ্গে সঙ্গে আমার কাছে খবর আসতে আরম্ভ করেছে। খবর যেমন চাঞ্চল্যকর তেমনি ভয়াবহ, তেমনি নৈরাশ্যজনক। যাচাই করতে একটু সময় লাগবে | ইতিমধ্যে আরো খবর আসবে।” এই টুইট কিন্তু বেশ চাঞ্চল্যকর। এবং দলকে চরম অস্বস্তিত্বে ফেলার জন্য যথেষ্ট।

এখানেই শেষ নয়। নাম করে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন তথাগত। তাঁর কথায়, ”বিজেপির এক বহু পুরোনো কর্মী স্বপন দাশের মন্তব্য “নির্বাচনের ঠিক আগে জয়নগরে সভা পরিচালনা করছিলাম, আগেরদিন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, কৈলাসজী তাঁর ভাষনে শুধু শ্রাবন্তীর নাম….শুধু শ্রাবন্তী বন্দনায় মগ্ন ছিলেন, যেন লালা ঝরছে। লজ্জা করছিল আমার, এরা আমাদের নেতা”?”

প্রসঙ্গত, গত রবিবার আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে ফেরার পর দিলীপ ঘোষ টুইটারে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, “সবাইকে বাদ দেব।” দিলীপের সেই পোস্টকে উদ্ধৃতি করে তথাগত লিখেছেন, ”দল দালালদের জন্য কোল পেতে দিয়েছিল। গলবস্ত্র হয়ে তাদের এনেছিল। যারা আদর্শের জন্য বিজেপি করত তাদের বলা হয়েছিল, এতবছর ধরে কি করেছেন, ছিঁ..ছেন ? আমরা আঠারোটা সিট এনেছি। জুলিয়াস সিজারের মতো Vini Vidi Vici। এখন ভাঁড়ামো করলে হবে? আজকে বিজেপির শোচনীয় পরিণতি এই সবের জন্যই।”