‘ভূত চতুর্দশী’তে কেন খাবেন ১৪ শাক?

0
3

ধনতেরস দিয়ে শুরু হয় পাঁচ দিনের দীপাবলি উৎসব। আজ মঙ্গলবার ধনতেরস। ধনলক্ষ্মীর আরাধনা দিয়ে শুরু হয় দীপাবলি উৎসব। কার্তিক মাসের ত্রয়োদশী তিথিতে হয় ধনতেরস উৎসব। ধনদেবীর আরাধনার এক বিশেষ দিন। দীর্ঘদিন ধরে উত্তর ভারতেই এর চল থাকলেও এখন বাংলাতেও বেশ জনপ্রিয় ধনতেরস। সোনা-রুপোর গয়না কিনতে এ দিন ভিড় জমান মানুষ।
পরের দিনটিই ‘নরক চতুর্দশী’ বা ‘ভূত চতুর্দশী’। গুজরাত, রাজস্থান ‘রূপ চৌদাস’ নামে পালিত হয় উৎসব। দক্ষিণ ভারতেও এই উৎসব উদযাপন হয়। শুদ্ধ দেহমনে ঘরের সামনে রঙিন ‘রঙ্গোলি’ আঁকেন। বাঙালিরা এইদিন বাড়িতে ১৪ টি প্রদীপ জ্বালায়। ১৪ পুরুষের জন্য আলো জ্বালায় দোড়ে দোড়ে । বাড়ির প্রতিটি দরজায় জ্বালানো হয় বাতি। কৃষ্ণপক্ষের ১৪ তম দিন অর্থাৎ অমাবস্যার আগের দিন চতুর্দশী। সেই সঙ্গে খাওয়া হয় চোদ্দ শাক।

আবার, কারও কারও বিশ্বাস, পূর্বপুরুষেরা ওই দিন পরলোক থেকে ইহলোকে নেমে আসেন। তাঁরা দেখতে আসেন, তাঁদের ছেড়ে যাওয়া পরিবার, বাড়ি, দোড় দালান। তাঁদের দিশা দিতেই ও আলো দেখিয়ে ফিরিয়ে দিতেই ১৪ প্রদীপ জ্বালার প্রথা।
অনেক বাড়িতে আবার পরলোকগত পূর্বপুরুষের মিষ্টি-জল নিবেদন করা হয়। বাঙালি পরিবারে বিশ্বাস, ১৪ রকম শাক সহযোগে ভাত খেলে ভূত-প্রেত দূরে থাকে। কেউ কেউ আবার এইদিনটিকে ছোটি দিওয়ালি হিসেবেও পালন করে।
চোদ্দ শাকের মধ্যে থাকে বেতো শাক, সর্ষে শাক, কাসুন্দে পাতা, পলতা পাতা, শালুক পাতা, আমরুথ পাতা প্রভৃতি। চোদ্দ প্রদীপের আলো যেন সারা রাত না নিভে যায়, খেয়াল রাখতে হয়। সারা রাত ঘর দোর আলোকমালায় সাজিয়ে রাখতে হয়।দীপাবলিতেই রামচন্দ্র ১৪ বছরের বনবাস কাটিয়ে অযোধ্যায় ফিরে এসেছিলেন, বলে বিশ্বাস। অযোধ্যায় রামচন্দ্রকে স্বাগত জানাতে প্রদীপ জ্বালিয়ে অযোধ্যা নগরীকে সাজানো হয়। সেই থেকে এই প্রথা চলে আসছে বলে বিশ্বাস অনেকের।