গোয়া রাজনীতিতে তৃণমূলের(TMC) প্রবেশের পর লাগাতার শক্তিক্ষয় হয়ে চলেছে কংগ্রেসের(Congress)। একের পর এক দাপুটে কংগ্রেস নেতৃত্ব তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। বিজেপির বিকল্প শক্তি হিসেবে উঠে আসে পূর্বপাড়ের শাসক দলের নাম। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এবার গড় সামলাতে গোয়া সফরের সিদ্ধান্ত নিলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)। জানা যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) পর আগামী ৩০ অক্টোবর গোয়ার সফরে যাবেন রাহুল।
গোয়া(Goa) কংগ্রেসের সভাপতি গিরিশ চোদনকর সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাজ্যে দলের শক্তি বৃদ্ধি করতে আগামী ৩০ অক্টোবর গোয়া সফরে আসবেন রাহুল গান্ধী। জানা যাচ্ছে, রাহুলের এই সফর মূলত দলের প্রতি অভিমানী কংগ্রেস নেতৃত্বকে আশ্বস্ত করে দলে ধরে রাখার উদ্দেশ্যে। যদিও কংগ্রেস সংগঠনের হাল যে অবস্থায় রয়েছে তাতে রাহুল সে কাজে কতখানি অগ্রসর হতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই।
আরও পড়ুন:ভয় পেয়েছে বিজেপি: গোয়ায় সাইনবোর্ড হতে আসিনি, মরে গেলেও আপস নয়: তৃণমূলনেত্রী
অন্যদিকে, আগামী বছরের শুরুতেই গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। তবে তার আগে এই রাজ্যে শক্তি বৃদ্ধির কাজ শুরু করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। একের পর এক কংগ্রেস নেতা ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দলে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী নাফিসা আলি, টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ। বলার অপেক্ষা রাখে না নির্বাচন পূর্বে কংগ্রেসের জন্য নিঃসন্দেহে এ এক বড় ধাক্কা। প্রসঙ্গত, গোয়া বিধানসভার ৪০ জন সদস্য রয়েছেন যার মধ্যে বিজেপির বর্তমানে ১৭ জন বিধায়ক রয়েছেন এবং মহারাষ্ট্রবাদী গোমান্তক পার্টি (এমজিপি), গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির (জিএফপি) বিজয় সরদেসাই এবং তিনজন নির্দলের বিধায়কদের সমর্থন রয়েছে বিজেপির প্রতি। এর সঙ্গে GFP এবং MGP প্রত্যেকের তিনজন করে বিধায়ক রয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের ১৫ জন বিধায়ক রয়েছে।