বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিষয়টিকে তীব্র নিন্দা করলেন তৃণমূলের (Tmc) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। ৩০ অক্টোবর উপনির্বাচনের প্রচারে মঙ্গলবার শান্তিপুরে সভা করেন অভিষেক। কয়েকদিন আগে ভোট প্রচারে গিয়ে বিজেপি (Bjp) বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, বাংলাদেশের হিংসার ঘটনায় এখানে তাঁরা ভোট বেশি পাবেন। এদিন কারও নাম না করে অভিষেক বলেন, “বাংলাদেশে (Bangladesh) ধিক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি রাজ্যনেতারা বলছেন বাংলাদেশে যা ঘটেছে, তাতে বিজেপির ভোটের ব্যবধান তিনগুণ বেড়ে যাবে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এটা বলেছেন।”

এরপরেই কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগে তোপ দাগেন অভিষেক। তিনি প্রশ্ন তোলেন, বিজেপি সরকার সনাতন হিন্দু ধর্মের জন্য কী করেছে? চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, “আমি দায়িত্ব নিয়ে বলে যাচ্ছি, হিন্দু সহ অন্য ধর্ম রক্ষার জন্য বিজেপি কী করেছে, তা তথ্য নিয়ে সামনে এসে দাঁড়াক! একদিকে আমি থাকব, আরেকদিকে ওরা থাকবে? ওরা রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসুক। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসব।”

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন ২৭ মার্চ বাংলাদেশে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই নিয়েই তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বলেন, “নির্বাচনের সময়ে বাংলাদেশে যেতে পারলেন, আজকে আপনি যাচ্ছেন না কেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন না? ভোটের সময়ে ওখানে গিয়ে ‘ডিল’ করে আসবেন। আর নির্বাচনের সময়ে বাংলার মানুষকে ভাগ করে বাংলা জয়ের স্বপ্ন দেখবেন।” বাংলায় কোনও ঘটনা ঘটলেই সেখানে উপস্থিত হয় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সেই বিষয়টিকেই সামনে রেখে এদিন সরব হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।































































































































